ধানক্ষেতেও ভালো খেলতে হবে: বাংলাদেশ অধিনায়ক


মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম বরাবরই প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য ভয়ংকর। গত কয়েকটি সিরিজে বাংলাদেশ দল এর ফায়দাও লুটেছে। যদিও চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারবরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। এবার মিরপুর টেস্টকে সামনে রেখে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বললেন, ধানক্ষেতেও খেলতে দেওয়া হলে ক্রিকেটারদের ভালো খেলা উচিত।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ এবার মিরপুরে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সফরকারীদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এ ম্যাচকে সামনে রেখে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, উইকেটের অজুহাত দেওয়া কাম্য নয়। এটাতে আমি নিজেও একমত নই। যদি ধানক্ষেতেও খেলতে দেওয়া হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেও আপনাকে ভালো খেলতে হবে। আমার মনে হয় এসব নিয়ে অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদারিত্ব দেখালেই ভালো হয়।
ব্যাটিং সহায়ক হোক কিংবা বোলিং, দুই ক্ষেত্রেই উভয় দল সুবিধা নেবে- এটাই স্বাভাবিক। মুমিনুল তাই উইকেটের খারাপ কিংবা ভালো অবস্থা কারও জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করবে না বলেই মনে করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার তেমন মনে হয় না। পেশাদারিত্বের বিষয়টা তো কেবল উইকেট নয়, অন্য সবকিছু মিলেই কিন্তু পেশাদারিত্ব। নিয়মানুবর্তিতার বিষয় আছে, ভালোমতো অনুশীলন করা, নিয়মমাফিক কাজ করা, প্রতিপক্ষের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা বুঝে অনুশীলন করা, এগুলো সবই কিন্তু পেশাদারিত্বের ভেতরেই থাকে।
এমন পিচে মুমিনুলের পরামর্শ তাই সফল হওয়া। তার মতে, আপনি যেমন বলছেন, ওরকম কিছুই নয়। সবাই পেশাদারিত্ব দেখাচ্ছে, কেউ হয়তো সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতকের দেখা পান ওপেনার আবিদ আলি এবং আবদুল্লাহ শফিক।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৫৭ রানে, মাত্র ২৫ রানের মাথায় চারটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন লিটন-রাব্বিরা। তবে তারাও বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিপদে দলের হাল ধরেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৯ বলে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। রাব্বি করেন ৩৬ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন, বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৩০ রান। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে শতকের দেখা পান আবিদ আলি, দল অলআউট হয় ২৮৬ রানে। আবিদ আলি করেন ১৩৩ রান।
এইচকেআর
