ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন সাত বছর

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন সাত বছর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

২০১৪ সালে সংঘটিত নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের আজ সাত বছর পূর্ণ হলো। আলোচিত ওই সাত খুনের নৃশংসতা সারা দেশেই সাড়া ফেলেছিল। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত ছিল ইস্যুটি।

তবে আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্ণ হলেও মামলার রায় বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। নিম্ন আদালতের পরে হাইকোর্টে দ্রুত রায় ঘোষণা করা হলেও আপিল বিভাগে রায়টি নিষ্পত্তি হতে ধীরগতির কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
তাদের দাবি, উচ্চ আদালত যেন দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির রায় কার্যকর করেন।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

নিম্ন আদালতের পর উচ্চ আদালত ২০১৮ সালে ২২ আগস্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখেন।

বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আড়াই বছর ধরে মামলাটি আপিল বিভাগে থাকায় নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

আলোচিত সাত খুনে নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান স্বপন, স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর, নজরুলের সহযোগী তাজুল ইসলাম, নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিম।

নাসিকের নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, আলোচিত ৭ খুনের পরে নারায়ণগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার পরে হাইকোর্টেও মামলাটির রায় দ্রুত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আপিল বিভাগে মামলাটির কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে।

যে কারণে আমরা বর্তমানে মামলাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন আলোচিত ৭ খুনের রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয় তিনি সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান রিপন বলেন, মামলাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। তিনি যেন ব্যবস্থা নেন, দ্রুত মামলার রায় কার্যকর হয় সে দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুলসহ ৬ জন ও ১ মে আরেকজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তিরচর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন