ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news
যুক্ত হচ্ছে আরো ১০টি

২২ শয্যায় উন্নীত শেবাচিমের করোনা আইসিইউ

২২ শয্যায় উন্নীত শেবাচিমের করোনা আইসিইউ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

করোনা মহামারি মোকাবেলায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সংযোজন হয়েছে আরও ১০টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ যন্ত্র আইসিইউ বেড। আজ না হলেও কাল থেকে এ আইসিইউতে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হবে।

এ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা আইসিইউতে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২২টি। তাছাড়া আগামী মে মাসের প্রথম দিকে আরও ১০টি আইসিইউ বেড এ হাসপাতালে সংযুক্ত হবে বলে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. এস.এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, ‘গত বছর করোনা মহামারির শুরতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ শয্যার করোনা আইসিইউ চালু করা হয়। তবে রোগী বেড়ে যাওয়ায় দেখা দেয় আইসিইউ’র চরম সংকট। 

তার মধ্যে ইউনিটটি চালুর ছয় মাসের মাসের মাথায় অর্ধেকের বেশি আইসিইউ বিকল হয়ে যায়। পরবর্তীতে জোড়াতালি দিয়ে এটি চালু করা হলেও আইসিইউ সংকট দূর হয়নি।

এদিকে, প্রথমের থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা মহামারি আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এ কারণে আইসিইউ’র চাহিদা আরও কয়েকগুন বেড় যায়। চাহিদা পুরণে শেবাচিমের করোনা ইউনিটে ৪০ বেডের আইসিইউ ইউনিট চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এরি মধ্যে ইউনিটটিতে ২২টি মোট আইসিইউ বেড সংযোজন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৪০টি আইসিইউ বেড স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আমারা এগোচ্ছি। করোনা ইউনিটের অভ্যন্তরে সেভাবে করেই একটি জায়গা রেডি করা হয়েছে। যেখানে পূর্বে থেকেই ১২টি আইসিইউ বেড ছিলো।

তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পরে নতুন করে ২০টি আইসিইউ বেড এর চাহিদা ঢাকায় পাঠিয়েছি। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার চাহিদার অনুকুলে ১০টি আইসিইউ আমরা পেয়েছি। 

যা এরি মধ্যে শেবাচিমের করোনা আইসিইউ ইউনিটে স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞরা এসেছে আইসিইউগুলো চালু করার জন্য। তারা সোমবারের মধ্যে নতুন আইসিইউগুলো চালু করে দিবেন। এরপর সোমবার অথবা মঙ্গলবারের মধ্যেই এসব আইসিইউতে রোগী ভর্তি শুরু হবে।

হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘নতুন ১০টি চালু হলে এ হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা হবে ২২টি। তবে এর মধ্যে পুরাতন যে ১২টি আইসিইউ রয়েছে তার মধ্যে থেকে একটি অচল। এছাড়া ১০-১৫ দিনের মধ্যে আরও ১০টি আইসিইউ আমরা পাবো। এ বিষয়ে রবিবারও ঢাকায় কথা বলেছি। ওইগুলো পেলে এ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা হবে ৩২টি। করোনা মোকাবেলায় এ আইসিইউগুলো সহায়ক হবে বলে আশাবাদী হাসপাতাল পরিচালক।

এদিকে, আইসিইউ শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা। যা দ্বারা রোগীদের অতিমাত্রায় স্বাভাবিক অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া ব্যবস্থা হয়নি করোনা রোগীর প্রধান ওষুধ এন্টিভাইরাল রেমডিসিভির ইনজেকশন। ফলে এখনো বাইরে থেকেই অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে এই এন্টিভাইরাল।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বরিশালের এটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা আমাদের নেই। তাই ১০০টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার চাহিদা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩টি পেয়েছি। বাকিগুলো যাতে দ্রত পাওয়া যায় সে বিষয়ে ঢাকায় নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়েছে।

তাছাড়া এন্টিভাইরাল রেমডিসিভির ইনজেকশন এর চাহিদাও ঢাকায় পাঠিয়েছি অনেক আগেই। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে এন্টিভাইরাল ইনজেকশন আমাদের দেয়া হয়নি। এ বিষয়েও ঢাকায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। 

তবে শেবাচিম হাসপাতালের কেন্দ্রীয় ওষুধ স্টোরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে চাহিদার অনুক‚লে মাত্র ৯০টি এন্টিভাইরাল রেমডিসিভির ইনজেকশন শেবাচিমকে দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি অবগত নন বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল পরিচালক।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন