অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হলেন খায়রুল কবির খোকন


বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে সমাবেশ চলাকালে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বের হতে চাইলে ১০ থেকে ২০ জনকে আটক করে। একই সাথে বিএনপির কার্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ঘিরে রাখার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা।
তবে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানিয়েছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন। পুলিশ তাদের কিছুই করেনি। এখন তারা অবরুদ্ধ হয়ে থাকলে পুলিশ কি করবে? মূলত অনেক লোকজন জড়ো হওয়ার কারণে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় এলাকায় অবস্থান করছিলো। যেন অপ্রীতিকর কোন পরিস্থিতি না হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের গেটের সামনে ও চার পাশে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে, কার্যালয়ের ভেতর কর্মীরা দাঁড়িয়ে আছেন। নেতাকর্মীরা বের হলেই তাদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। একজনকে আটক করতেও দেখা গেছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চিনিশপুর কার্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের শেষ মুহুর্তে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নেতাকর্মীরা বের হতে গেলেই গণ-গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। পরে বিএনপির মূল ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে চারপাশ ঘেরাও করে রাখে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। পরে নেতাকর্মীরা যার যার মতো বের হন।
এইচকেআর
