হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?


সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও লেজেগোবরে অবস্থা বাংলাদেশের। টানা দুই ম্যাচ হেরে এরই মধ্যে সিরিজ খুঁইয়েছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। আর তাই সোমবারের (২২ নভেম্বর) তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি একপ্রকার নিয়ম রক্ষার লড়াই।
এ ম্যাচ দিয়েই বছরের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলবে লাল-সবুজ বাহিনী। এ ছাড়া আজ হেরে গেলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবতে হবে কথিত বাংলার টাইগারদের। অন্যদিকে, সিরিজ নিশ্চিত করে এবার বাবর আজমদের চোখ হোয়াইটওয়াশে। মিরপুর শেরেবাংলায় ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
বাজে পারফরমেন্সে নিজেদের এক ম্যাচ থেকে আরেক ম্যাচে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একটা জয়ের খোঁজে শেষ ম্যাচে উইকেট যেন নিজেদের পক্ষে থাকে এমন কিছুর চেষ্টা মাঠকর্মীদেরও। বছরের শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলে যে মান বাঁচবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকেও।
টানা দুই দিনে দুই ম্যাচ। শেষ ম্যাচের আগে তাই অনুশীলন করেনি কোনো দল। টিম হোটেলে বাবর আজম-রিয়াদরা বিশ্রাম নিয়েছেন। মুস্তাফিজ-শরীফুল ইনজুরিতে।
সেই সুবাদে একাদশে অভিষেক হতে পারে পেসার শহিদুল ইসলামের। দলে তৃতীয় পেসার প্রয়োজন হলে খেলানো হতে পারে কামরুল ইসলাম রাব্বীকে। আর সাইফের জায়গায় মোটামুটি নিশ্চিত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
অন্যদিকে, সিরিজ জিতে স্বস্তিতে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে সাইডবেঞ্চের দুই-একজনকে বাজিয়ে দেখতে পারেন কোচ সাকলাইন মোশতাক। হোয়াইটওয়াশেই চোখ পাকিস্তানের। এদিকে, মাঠে দর্শক প্রবেশের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়, দু'দলের খেলোয়াড়দের ম্যাচের আগে করানো হয়েছে করোনা টেস্ট। যেখানে খুশির খবর সবারই এসেছে করোনা নেগেটিভ।
প্রতিবার ম্যাচ হারার পর অধিনায়কের একই বুলি। পরের ম্যাচে শিক্ষা নেব আমরা। কিন্তু সেই শিক্ষা নেওয়া আর হয় না। প্রতি ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে বাজে পারফরম্যান্স। সবচেয়ে বড় গলদটা ব্যাটিংয়ে। কোনো ম্যাচেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা।
এদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডব যে কতটা অপরিহার্য ছিল, সেটি হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে এবার। চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া পঞ্চপাণ্ডবদের কেউই নেই।
মাশরাফীর বিদায়ের পর চোটের কারণে দলে নেই টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি থেকে অনেকটা নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মের পর বাধ্যতামূলক বিশ্রামে মুশফিকুর রহিম।
এইচকেআর
