ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

অর্থপাচার মামলা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই: আপিল বিভাগ

অর্থপাচার মামলা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই: আপিল বিভাগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আপিল বিভাগ বলেছেন, বর্তমান অবস্থায় অর্থপাচার একটি বিশেষ ধরনের অপরাধ। এ অপরাধে দায়ের করা মামলা হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের জামিন বিষয়ে শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।

পরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে চার মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। জয় গোপালের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, অর্থপাচার মামলা নিয়ে আপিল বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আদালত বলেছেন, বর্তমান অবস্থায় অর্থপাচার একটি বিশেষ ধরনের অপরাধ। এ অপরাধে দায়ের করা মামলা হালকাভাবে নেওয়ার স্কোপ নেই। আদালতের এ পর্যবেক্ষণ মানিলন্ডারিং মামলায় অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানির সময় আমরা হাইকোর্টে উপস্থাপন করব।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন। পরে জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। এরপর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালংকার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় তাকে গত বছর ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। তাকে ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর এবং ওয়ারী থানায় করা পৃথক চার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেন্ডারিয়া থানায় ওই বছরের ২৫ মে একটি (মামলা নম্বর ২৮), সূত্রাপুর থানায় ২৬ সেপ্টেম্বর দুটি (মামলা নম্বর ২৭ ও ২৯) এবং ওয়ারী থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি (মামলা নম্বর ৩৪) মামলা করা হয়। গত বছর ২২ জুলাই এসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি।

গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দুটি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রুপনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন