এখনও অনেক কিছু পাওয়ার আছে : মাহমুদউল্লাহ


সেমি-ফাইনালের দৌড় থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের মূল পর্বে এখনও একটা ম্যাচও জিততে পারেনি টাইগাররা, ৩ ম্যাচেই হেরে এখন অপেক্ষায় বাড়ির পথ ধরার।
গত ছয় আসরের মূল পর্বে মাত্র একটা ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ দল এবার বড় স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল মরুর বুকে। স্বপ্ন ছিল সেমি-ফাইনালে খেলারও। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও হারতে হয়েছে ৩ রানে।
এই হারের পর আর কী থাকে প্রত্যাশা করার মতো? তবে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছেন, অনেক কিছুই পাওয়ার আছে এখনও। বাকি দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেছেন, “এখনও অনেক কিছুই পাওয়ার আছে। যদিও সেমিফাইনালের আশাটা ক্ষীণ হয়ে গেছে কিন্তু দুইটা ম্যাচ আছে। এই দুইটা ম্যাচ যদি জিততে পারি ইনশা আল্লাহ দলের জন্য ভালো কিছু একটা হবে এবং আমরা চেষ্টা করছি সবাই, মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি। মাঠে শতভাগ দেয়ার কমিটমেন্ট দেয়ারই চেষ্টা করছি তবে ভুল হচ্ছে বাট দুটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।”
এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলে বেঁচে থাকত সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন। দুপুরে টাইগার অধিনায়ক যখন টস জিতে বোলারদের উপর আস্থা রেখেছিলেন, বোলাররাও তাদের কাজটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিকঠাক। ১৪ ওভারে যে উইন্ডিজ ৪ উইকেটে সংগ্রহ করেছিল মাত্র ৭০ রান তারাই কী না শেষ পর্যন্ত ১৪২ রান তুলে ফেলে।
এর জন্য ফিল্ডারদের ব্যর্থতাও কম নয়। ১৩.২ ওভারের মাথায় রোস্টন চেজের ক্যাচ মিস করেন শেখ মেহেদী, ১৮.৫ ওভারের মাথায় জেসন হোল্ডারের ক্যাচ ফেলে দেন আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত জীবন পাওয়া রোস্টন চেজ করেন ৩৯ আর হোল্ডার করেন ১৫ রান।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও দুটি ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। দিন শেষে এই ক্যাচ মিস গুলোই হারের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্যাস মিস নিয়ে বলেছেন, “আপনি যখন এরকম ক্রুশাল ম্যাচ গুলাতে স্পেশালি যারা টিমের বেস্ট বেস্ট ফিল্ডার তারা যদি ক্যাচ মিস করে অনেক সময়, কেউ তো আর ইচ্ছা করে করে না বাট, আমরা তো আশা করি যে ওই সুযোগগুলা ধরবে। যেহেতু আমরা ক্রমাগত ওই মিস্টেকসগুলা করছি ম্যাচ বাই ম্যাচ অবশ্যই এগুলা একটা কনসার্ন। আমার তো মনে হয় যে আমাদের ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে এবং করা উচিত। না আসলে এগুলা ট্যাকনিকাল কনসার্ন না। রেগুলেশন ক্যাচই ছিল আনফর্চুনেটলি মিস হয়ে গেছে।”
এমবি
