পিরোজপুরে চলছে ৫৫৭ টি মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ


সারা দেশে আগামী ৬অক্টোবর মহালয়া পর্ব দিয়ে পূজার আগমনী বার্তা থেকে শুরু হবে সনাতন (হিন্দু) ধর্মালম্বীদের বছরের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে পিরোজপুরের ৭টি উপজেলা এবং ৪টি পৌরসভায় এবছর ৫৫৭টি মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সরকার আনন্দঘন পরিবেশে এ পূজা উদযাপনের লক্ষে ২৭৮.৫০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।
আসন্ন দুর্গা পূজাকে ঘিরে জেলার সর্বত্র একটি উৎসবের আমেজ তৈরী হয়েছে। পিরোজপুর পৌর এলাকার কালীবাড়ি, আখড়াবাড়ী, রাজারহাট, পালপাড়া, রায়েরকাঠী এবং কৃষ্ণনগর,জেলার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের মদনমোহন জিউর মন্দির,ভিটাবাড়িয়া,কাউখালী সদর সহ বিভিন্ন মন্দির ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মন্দিরে মন্দিরে এখন চলছে প্রতিমা তৈরীর চূড়ান্ত ভাবে রং করার পূর্ব প্রস্তুতি। এ বছর দেবী দুর্গা ঘোটকে আগমন করবেন এবং দোলায় গমন করবেন।
পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল কৃষ্ণ মন্ডল জানান ১২ অক্টোবর থেকে সপ্তমী পূজা শুরুর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব এর মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পিরোজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু জানান, এবার জেলায় ৫৫৭টি পূজা মন্ডবে দুর্গা পূজার আয়োজন চলছে। সবচেয়ে বেশি পূজা হচ্ছে নাজিরপুর উপজেলায়। নাজিরপুরে এবার ১২৫টি, পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৬৫টি, ভা-ারিয়া উপজেলায় ৪৭টি, স্বরূপকাঠী উপজেলায় ১১৮টি, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৯২টি, কাউখালী উপজেলায় ৪১টি, এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় ২৯টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান জানান, সকল মন্দিরে সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ন ভাবে দুর্গা পূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ জেলার সনাতন ধর্মালম্বীরা নিশ্চিন্তে উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। এদিকে সরকার পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন মন্দিরের দুর্গা পূজায় সহযোগিতার জন্য ২৭৮.৫০০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে ৫০০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে পিরোজপুর সদরে ৩২.৫০০ মেট্রিক টন, নাজিরপুরে ৬২.৫০০, নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠী) ৫৯.০০০, ভান্ডারিয়ায় ৪৩.৫০০, কাউখালীতে ২০.৫০০, ইন্দুরকানীতে ১৪.৫০০, মঠবাড়িয়ায় ৪৬.০০০ মে:টন চাল বিভাজন করে দেয়া হয়েছে।
শঙ্কর জীৎ সমদ্দার /এইচকেআর
