স্বরূপকাঠিতে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী হাসপাতালে


স্বরূপকাঠির সারেংকাঠি গ্রামে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রানি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ দুদিন ধরে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী খাইরুল মৃধা শ্বশুর বাড়িতে বসে স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে অজ্ঞান করে ফেলে রাখেন। পরে রানির বাবা মো. লাহু মৃধা তার মেয়েকে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যপারে মো. লাহু মৃধা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।
নির্যাতিতা রানির মা লাইজু বেগম অভিযোগ করেন, পাঁচ বছর পূর্বে একই গ্রামের খাইরুল মৃধার কাছে তার মেয়েকে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে জামাই খাইরুল তার মেয়ের কাছে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার চাপ দিতে থাকে। তারপর টাকা দিতে না পারায় খায়রুল ও তার মা নানা অজুহাতে রানিকে শারিরীরভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিস বৈঠক হয়েছে। পরে রানি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তার স্বামী। একপর্যায় নির্যাতন সইতে না পেরে রানি তার কন্যাকে নিয়ে কয়েকমাস আগে বাবার বাড়ীতে চলে আসে।
হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন রানি তার স্বামীর নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে অভিযোগ করে বলেন, কোনো কারন ছাড়াই কথায় কথায় মারতে থাকে। পরে জীবন বাচাতে বাচ্চা নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসি। গত ৫-৬ মাসে কোনো খোঁজ খবর রাখেনি। হঠাৎ বৃহস্পতিবার এসেই মারধর শুরু করে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত খাইরুল তার স্ত্রীকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, রানি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তাই তাকে মেরেছি। সারেংকাঠি ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির পরিবার খুবই গরীব। স্বামী খায়রুল প্রায়ই রানিকে মারধর করে এমন অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় মুরব্বিরা বেশ ক‘বার মিমাংসার চেস্টা করেন ।
এইচেকআর
