'সেনাশাসকের হাতে যাদের জন্ম তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে-লজ্জা করে না'


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘যারা অতীতে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, যাদের জন্ম অগণতান্ত্রিকভাবে সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে হয়েছে, বিএনপি'র সাহেবেরা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, লজ্জা করে না তাদের।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে জেদ্দাস্থ লাচানি হোটেলের হল রুমে আয়োজিত জেদ্দা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট মাহমুদ হাসান শামীমের শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামাত-শিবির যে দলে ঢুকে সে দল কখনোই দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। আর ৭১ এর দালালরা এদেশে কখনোই তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না। বরং তাদের এদেশ থেকে চিরতরে উৎখাত করা হবে। এখনো একটি কুচক্রি মহল শেখ হাসিনার উন্নয়নকে দুর্বার গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া বাংলাদেশের সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ ও এদেশের মানুষ ওই কুচক্রীদের কখনোই সফল হতে দেবে না। এদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে কোন বাধাই টিকে থাকতে পারবে না। আল্লাহর রহমতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা দখল করে বর্তমান সরকারের পতন এটা দিবাস্বপ্নের মত, অগণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করে সরকারের পতন এটা কখনোই সম্ভব নয়, তাদের আন্দোলনের অতীত ইতিহাস বাংলার জনগণ জানে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্য থেকে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে উঠে এসেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তারা জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় এবং অগণতান্ত্রিক আন্দোলন কিভাবে রুখতে হয়।
নানক বলেন, করোনা মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসীদের আয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে, যা সত্যিকার অর্থে অবিশ্বাস্য। প্রতিনিয়ত এ ধারা অব্যাহত রাখাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি প্রবাসী আপনারা। আপনারা হচ্ছেন বাংলাদেশের অক্সিজেন।
জেদ্দা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সোহেল রানা ও শিপনের যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি হোসেন আহমেদ। এতে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেদ্দা যুবলীগের বদরুল আলম সেলিম, জুবায়ের আহমেদ, ফকর উদ্দিন, ঈদ্রিস আলী, আজাদ মোবারক, সৈয়দ শফিউল আলম, খলিলুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, মাসুদ সেলিম, এরশাদ আহমেদ, শাহ নিজাম উদ্দিন, মসুখ আহমেদ, আলাউদ্দিন আলা, নুরুন্নবী চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, আওয়াজ আলী, আবু আলম, জাবেদ, ফারুক আহমেদ, মাহবুব, ইসমাইল, আজিজুর রহমান দিলুসহ জেদ্দাস্থ দশ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এইচেকআর
