ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

জাপানি ২ সন্তানের সঙ্গে একদিন করে থাকবে মা-বাবা

জাপানি ২ সন্তানের সঙ্গে একদিন করে থাকবে মা-বাবা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জাপান থেকে আসা সেই দুই সন্তানের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে একদিন থাকবে বাবা এবং এক দিন মা থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


এই সময়ের মধ্যে সন্তানদের বাবা-মা সমঝোতায় আসবে বলে আশা করেছেন আদালত। আর এই সমঝোতা করতে বাবার পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এ বিষয়ে মায়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বসবেন রোকনউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে থাকা এবং বাইরে ঘোরাফেরা করার অনুমতি দিয়েছিলেন জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকো। একইসঙ্গে তাদের বাবা ইমরান শরীফও আলাদাভাবে শিশুদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে পারবেন।

আদালতে এরিকোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলে আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর আগে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে সমঝোতায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানি নারী মা এরিকো ও বাবা ইমরান শরীফ। ১৯ আগস্ট সন্তানদের ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা জাপানের টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তাদের ঘরে জন্মগ্রহণ করে তিনটি কন্যা সন্তান।

তারা হলো- জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) এবং সানিয়া হেনা (৭)। এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ইমরান তার স্ত্রী এরিকোর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এরপর ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তাতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।

পরে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাস স্টপেজ থেকে ইমরান তাদের বড় দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। চারদিন পর ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যন করেন। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন