ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

যশের ১০ বছরের ছেলেও আছে, দাবি প্রাক্তন স্ত্রীর

যশের ১০ বছরের ছেলেও আছে, দাবি প্রাক্তন স্ত্রীর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


যশ ও নুসরাতের সম্পর্ক নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। একের পর এক নতুন ঘটনা উসকে দিচ্ছে সেই আলোচনাকে। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন যশ দাশগুপ্তের প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতা সিংহ কালহানস। 

আপনি তো অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের স্ত্রী...। এমন প্রশ্নের শুরুতেই থামিয়ে দিয়ে শ্বেতা বলেন, এখন নেই। আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। একটা কথা বলি, যশ এখন এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে আছে। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি কিছু বলব না। তবে আপনি এ নিয়ে যে একেবারেই প্রশ্ন করতে পারবেন না, এমনও বলছি না। প্রশ্ন করতে পারেন। আমি আমার মতো করে জবাব দেবো।

তিনি বলেন, মুম্বাইয়ে যশের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। আমাদের ১০ বছরের ছেলেও আছে। কোনো দিন সামনে আসিনি। তাই হয়তো অনেকে আমাকে চেনে না। বছর তিনেক টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটা সেই সময়, যখন যশের সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে লড়ছি। ব্যস! ওইটুকুই। তার পর মুম্বাইয়ে ফিরে আসি। এরপর টলিপাড়ার সঙ্গে আর কেনই বা যোগাযোগ থাকবে!

আপনি কোনো সময় প্রকাশ্যে কেন আসেননি? এমন প্রশ্নের উত্তরে শ্বেতা বলেন, ইন্ডাস্ট্রির আমি কেউ নই। আর যশের সঙ্গে আমার তো বিচ্ছেদ হয়েই গেছে। সামনে এসে কী করব বলুন?

নুসরাতের সঙ্গে যশের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, আমি নুসরাতকে দেখেছি। কিন্তু চিনি না। তাই কিছু বলতে চাই না।


যশের প্রাক্তন বান্ধবী পুনম ঝাঁ সম্পর্কে করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মন্তব্য করার মতো তাকে চিনি না। তবে যশকে চিনি। ওকে জানি। যশের মেলামেশা করার একটা পদ্ধতি আছে। সেটাও জানি আমি। তবে আমার মনে হয় এবার সময় হয়েছে! ভবিষ্যতে যশ কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করবে, তার সিদ্ধান্ত এবার ওর নিয়ে নেওয়া উচিত।

আপনি যশকে এখনও ভালবাসেন? প্রশ্নের উত্তরে শ্বেতা বলেন, যশ আমার ছেলের বাবা। ওর সঙ্গে সেই সূত্র ধরে যেটুকু যোগাযোগ রাখতে হয় রাখি। আমাদের সন্তান পারস্পরিক হেফাজতের অধীনে। ডিভোর্সের সময় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর ভালোবাসা? যশ যে দিন আমাদের পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সে দিন থেকেই ওর জন্য আমার ভালবাসা উধাও হয়ে গিয়েছে। ছেলে আমার সঙ্গে থাকে না। আমার অতীত নিয়ে অনেক দিন থেকেই ভাবনা চিন্তা বন্ধ করে দিয়েছি। অনেক হয়েছে!

সূত্র : আনন্দ বাজার পত্রিকা


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন