আমতলীতে চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ


বরগুনার আমতলী উপজেলায় শুরু হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধোয়া ও পরিস্কার করার কাজ। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা খবরে নড়েচড়ে বসেছে অভিভাবক মহল । প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ইবতেদায়ী ২৮৪৫৩ ও ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত ২৮৬৮৫ নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আমতলী উপজেলা সদরসহ প্রত্যান্ত অঞ্চলের ১৫৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়. ৪৯টিবেসরকারী ও কিন্ডার গার্ডেন বিদ্যালয়, জুনিয়র বিদ্যালয় ১৪টি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬টি দাখিল মাদ্রাসা ২২টি আলিম ৩টি ও ফাজিল ৪টি মাদ্রাসা ৬টি কলেজ ৭টির শিক্ষকদের তত্ত্বাবধনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে ক্লাস রুমের চেয়ার টেবিল বেঞ্চে দীর্ঘ দিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকাই ধূলোবালীর স্তুপ পড়ে জমে আছে সেগুলো পরিস্কার করা হচ্ছে । মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দীর্ঘ ২ বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাই কেউ কারোর সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা এক প্রকার ঘরমুখো হয়ে পড়েছেন। তবে সংসয় ও সন্দেহ এখোনো আছে তাদের মধ্যে । অভিভাবক মহলে প্রশ্ন, সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিক কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে নাতো স্কুল না খোলার।
আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম কবির মুঠোফোনে বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শ্রেনী কক্ষে পাঠ দান শুরু করা হবে। সে জন্য স্কুল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. বজলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, স্কুল ধোয়া মোছার কাজ চলছে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে যথা নিয়মে পাঠদান শুরু করা হবে।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান বলেন, স্কুলগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে পাঠদানের উপযোগী করার কাজ চলছে । আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়া উল হক মিলন বলেন, উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জুনিয়র স্কুল, কলেজ. মাদ্রাসা পাঠদানের উপযোগীি করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে ধোয়া মোছার কাজ পুরুদমে চলছে।
এইচেকআর
