থানার ভেতরে আ’লীগ নেতার কিলঘুষিতে বৃদ্ধের মৃত্যু


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কিলঘুষিতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে সব মহলেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শহিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি দামুড়হুদা বাজারপাড়ার আশর আলীর ছেলে।
নিহত বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন মন্ডল উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত জোনাব আলী মন্ডলের ছেলে।
নিহত ইসরাফিল হোসেন মÐলের ভাতিজা আল আমিন জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশে শুক্রবার দামুড়হুদা মডেল থানায় গিয়েছিলেন আমার চাচা বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন (৮০) গং ও নজু মোল্লা গং। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম থানায় উপস্থিত হন এবং নজু গংয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু শেষমেশ বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় বেলা দেড়টার দিকে থানা থেকে বের হয়ে যান ইসরাফিল গং।
এতে ক্ষুব্ধ হন ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। তিনি থানার বারান্দাতেই আমার চাচা বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন মÐলকে গালমন্দ করেন এবং ঘুষি মেরে আহত করেন। বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন এ সময় ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমার বাপের বয়সী মানুষ, আমাকে তুমি মারছ কেন?'
এরপর বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন মÐল থানা থেকে বেরিয়ে যান। তিনি থানার গেটের বাইরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় ফের আক্রমণ করেন ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেনকে কিল-ঘুষি মেরে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন গুরুতর আহত হন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডা. তানভির মো. আসিফ মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন মÐলের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে থানার ওসি আবদুল খালেক জানান, আমরা ঘটনার পরপরই ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে আটক করেছি। এখনো থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচকেআর
