ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

এক কাঠি আমন ধানের বীজ ১০ হাজার টাকা

এক কাঠি আমন ধানের বীজ ১০ হাজার টাকা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আউশ ধানের মৌসুম শেষে এখন পুরো দস্তুর চলছে আমন ধান চাষের মৌসুম। আর এ চাষ চলবে পুড়ো ভাদ্র মাস পর্যন্ত। তবে স্থান ভেধে আশ্বিণ মাসের প্রথম দিকও অনেক কৃষকের লাগতে পারে বলে ধারনা করছেন অনেক কৃষক। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্থানীয় মাপের ৩২সের যা কেজি হিসেবে গন্যকরলে ২৬কেজি অর্থাৎ এককাঠী আমন ধানের বীজের মূল্য ১০হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছে পার্শবর্তী মঠবাড়িয়া,আমুয়া সহ দক্ষিণের বিভিন্ন উপজেলার কৃষক।  

সোমবার রাতে ভান্ডারিয়া- মঠবাড়িয়া সড়কের বটতলা নামক স্থানে সড়ক পথে ইঞ্জিন চালিত দুটি টমটমে করে ভান্ডারিয়া থেকে পার্শবর্তী মঠবাড়িয়া এবং আমুয়া উপজেলার কৃষক এ বীজ নিয়ে যাওয়ার সময়ে আলাপকালে কৃষক মিঠু, রাজু সহ কয়েকজন জানান, তাদের মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রায় ৯০শতাংশ জমির আমন বীজ পচে যাওয়ায় তারা পার্শবর্তী ভান্ডারিয়া, রাজাপুর উপজেলা থেকে এসব বীজ তাদের মাঠে রোপনের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা কেহ খোলা অর্থাৎ বীজ ক্ষেত ,আবার কেহ পোন হিসেবে এ বীজ ক্রয় করে থাকেন।  ১পোন অর্থাৎ স্থানীয় ভাষায় ৮০কোচায় (আটিতে) আমন বীজের মূল্য ১২শ থেকে ১৪শ টাকায় তারা কিনে এনেছেন। 

চলতি বছরের আমন আবাদের কথা জানতে চাইলে উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দল্লাহ আল মামুন জানান, ভান্ডারিয়া পৌরসভা সহ উপজেলার বাকি ছয়টি ইউনিয়নে কৃষকরা সচেতন থাকায় এ বছর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আউশের ফলনও ভাল হয়েছে এবং বর্তমান আমন মৌসুমে টার্গেট ধরা হয়েছে ২৬শ হেক্টর জমি। তাতে আমাদের কৃষকরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত চারা বিক্রি করছের বেশ ভাল দামে। তা ছাড়া বছরের শুরুতে আউশ মৌসুমে টার্গেট ধরা হয়েছিল ২৪শ হেক্টর কিন্তুু ফলন হয়েছে ২৫শ হেক্টর জমিতে। যা টার্গেটের চেয়ে ১শ হেক্টর বেশি উৎপাদন হয়।

 খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ১নম্বর ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রবীণ কৃষক মো. জাকির হোসেন,গৌরীপুর ইউনিয়নের মো. ইদৃস আলী ,সংকর মন্ডল,ইকড়ি ইউনিয়নের কবির সিকদার,ভান্ডারিয়া সদরের মো. বারেক হাওলাদার তাদের নিজেদের তাদের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বীজ বিক্রি করেছেন। ১কাঠি অর্থাৎ ২৬কেজি ধানের বীজ বিক্রি করছেন ১০হাজার টাকা। এই ১কাঠি ধানের বীজ উৎপাদনে ৪০/৪৫দিন রোপনযোগ্য চারা উৎপাদনে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়।  বিক্রি হচ্ছে ১০হাজার টাকায়।  

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ভান্ডারিয়া উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দল্লাহ আল মামুন আরো জানান, পার্শবর্তী মঠবাড়িয়া,কাঠালিয়া,আমুয়া সহ দক্ষিণের উপজেলা গুলোতে অতিরিক্ত পানির ফলে তাদের আমন বীজ নষ্ট হওয়ায় তারা অন্য যে সকল উপজেলার কৃষকের বাড়তি বীজ আছে তাদের থেকে দামদরের মাধ্যমে ক্রয় করে নিজেদের জমিতে রোপনের জন্য কিনে নিয়ে যায়।  

উপজেলা উদ্ভিৎসংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, আমাদের উপজেলায় প্রায় ১৫০টির অধিক কৃষক - কৃষাণীর আইসিএম, আইপিএম নামে কৃষক সংগঠন আছে। তাদের ধান,পান, ফলদ,বনজ ও মৌসুমি সবজি চাষে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক ভাবে পরামর্শ দেয়ার ফলে আমাদের উপজেলার কৃষকরা যেমন সচেতন তেমনি প্রাকৃতিক বড় ধরনের বিপদ ছাড়া তাদের কোন অসুবিধা হয়না।


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন