ধুঁকে ধুঁকে মরার চেয়ে ইচ্ছামৃত্যু যেসব দেশে বৈধ


মৃত্যু জীবনের চরম সত্য একটা অধ্যায়। কেউ জানে না কার কখন কীভাবে মৃত্যু হবে। কেউ কেউ ধুঁকে ধুঁকে মরে। আবার কেউ মরার আগে বার বার মরে। মৃত্যুর আগে মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করা দুরূহ হয়ে ওঠে। হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ কিংবা বয়সের ভারে নুয়ে পড়া রুগ্ন শরীর থেকে যখন দম বের হতে চায় না, তখন তাদের মধ্যে অনেককেই বেছে নিতে হয় স্বেচ্ছা মৃত্যুর (নিষ্কৃতি) পথ। সেজন্য তারা আইনের মাধ্যমে আবেদন জানান।
এমন বিচিত্র আইন চালু রয়েছে নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গ ও স্পেনে।
এই আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় রয়েছে পর্তুগাল ও ইউথেনেশিয়া। তবে তা গত জানুয়ারিতে সংসদে আটকে যায়।
সর্বশেষ এ বছরই এ আইনের বৈধতা দেয় স্পেন। ২০০৪ সালের অস্কারজয়ী 'দ্য সি ইনসাইড' সিনেমা এই আইন প্রনয়ণের দাবি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। র্যামন স্যাপেড্রোর নিষ্কৃতি মৃত্যুর আর্জি নিয়ে তৈরি এই ছবি রীতিমতো সাড়া ফেলেছিল স্পেনে।
২০১৯ সালে ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে স্পেনে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষায় দেশের সিংহভাগ মানুষ নিষ্কৃতি মৃত্যুর পক্ষে। তবে ভিন্ন সুরও ছিল। খ্রিস্টধর্মের প্রথা অনুযায়ী এই নিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। কারণ, ধর্ম আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না।
তবে নিষ্কৃতি মৃত্যুর জন্য রোগীকে মোট চারবার আবেদন জানাতে হবে। কোনো চিকিৎসক যদি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না চান, তাকে বাধ্য করা যাবে না। আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক হতে হবে।
/ইই
