ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের দুর্ভোগ চরমে

আমতলীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের দুর্ভোগ চরমে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব কৃষ্ণনগর  গ্রামে সরকারী  খাসজমির ওপর নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প  নির্মাণের পর সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়লেও দীর্ঘদিনে ও সংস্কার  হচ্ছেনা। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন  প্রায় ৩ শতাধিক  নারী শিশু বৃদ্ধসহ অসহায়  বসবাসরতরা।

 এ অবস্থায় তারা সরকারের কাছে ঘর সংস্কারের দাবী  জানিয়েছেন । তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০০৪  সালে সরকারি অর্থায়নে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কৃষ্ণনগর গ্রামের  পানি উন্নয়ন বোর্ডের  বেড়িবাধের বাইরে সুবান্দী নদীর তীরে  সরকারী  খাসজমিতে  পুর্ব কৃষ্ণনগর  আশ্রয়ণ  প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পে , কবরস্থান,  খেলার মাঠে , সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ ০৭ টিনের ব্যারাক রয়েছে। প্রতিটি ব্যারাকে রয়েছে ১০টি করে কক্ষ। প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারকে একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পে ১০টি পরিবারের জন্য চারটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মান করা হয়েছিল । প্রতিটি ব্যারাকে জন্য একটি করে গভীর নলকূপ ও বসানো হয়। কিন্তু নির্মাণের পর দীর্ঘ ১৭ বছর  পার হলেও সংস্কার হয়নি প্রকল্পর ব্যারাকগুলো । ফলে নষ্ট হয়ে গেছে প্রকল্পের অনেক কিছু।  

সরেজমিন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকগুলো  ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘরই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঘরের টিনে মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে পলিথিন বিছিয়ে তার ওপরে ইটচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। দরজা, জানালাগুলো ভেঙে যাচ্ছে ভেঙ্গে গেছে । টিওবয়েল নষ্ট হয়ে গেছে । বাথরুম ও  গোসলখানাগুলো ভেঙ্গে চুরে নষ্ট হয়ে একাকার হয়ে গেছে ।  এগুলো আর ব্যবহার করতে পারছেনা পারছেণা  আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসকারীরা। ৭টি ব্যারাকের ৭০টি কক্ষের মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে ৫০টি পরিবার বসবাস করছেন। ৫০টি পরিবারের  প্রায় ৩ শতাধিক  অসহায় দুস্থ সহায় সম্বল হীন মানুষ বসবাস করছেন। বাকী ২০টি কক্ষ একেবারে ভেঙ্গে  এমন ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে  যা  বসবাসের উপযোগী নয়।

  পূর্ব কৃষ্ণনগর আশ্রয়ণ  প্রকল্পের  সাধারণ সম্পাদক শাহিদা  বেগম  বলেন, ঘরের মধ্যে থাকতে পারি না। বৃষ্টি এলে টিনের চালা দিয়ে পানি পরে। পানি ঠেকাতে হাঁড়ি, পাতিল দিয়েও লাভ হয় না। জোয়ারের সময়  ছেলে মেয়ে নিয়ে  রাস্তায় বসে থাকতে হয়। তিনি সরকারের কাছে  আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো মেরামত ও আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর পিছন দিয়ে নদী তীরবর্তী ভেড়ী বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। 

  কুকুয়া  ইউপি চেয়ারম্যান  মো.বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার  বলেন, সহায়, সম্বল ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সরকার। কিন্তু নির্মাণের দীর্ঘদিন পেরুলেও সংস্কার না করায় এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে  জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে যেসব ঘর জরাজীর্ণ তার তালিকা পাঠানো হবে। জরাজীর্ণ ঘরগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
 


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন