‘পিশাচের ডিএনএ’ সন্দেহে দুই সন্তানকে হত্যা!


বাবার মনে বদ্ধমূল ধারণা জন্মে সন্তানের শরীরে রয়েছে ‘পিশাচের’ ডিএনএ। ভবিষ্যতে দৈত্য হয়ে উঠতে পারে তারা। তাই বিশ্ববাসীকে দৈত্যদের হাত থেকে বাঁচাতে নিজের দুই সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করলেন বাবা।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির এই একুশ শতকে দাঁড়িয়ে স্রেফ কুসংস্কারের বশে এমন ঘটনা ঘটালেন এক মার্কিন নাগরিক। যদিও তাকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার পুলিশ। তার নাম ম্যাথু টেলর কোলম্যান। বয়স ৪০ বছর। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা।
দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার। কিন্তু কপালে সেই সুখ সইল কই! দুই ছেলের বয়স মোটে ২ বছর এবং ১০ মাস। বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে বড়শি ছোড়ার শিকারি বন্দুক দিয়ে তাদের হত্যা করে কোলম্যান। কিন্তু কেন?
ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশকে দেয়া কোলম্যানের জবানবন্দি অনুসারে, কিউএনন এবং ইলুমিনাতির ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। সেখান থেকে তিনি বুঝতে পারেন, তার দুই সন্তানই ভবিষ্যতে নরখাদক হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে। তাই তাদের হত্যা করে পৃথিবীকে রক্ষা করেছেন তিনি।
কোলম্যানের ভাষ্যমতে, আমার স্ত্রী সারপেন্ট ডিএনএ-র অধিকারী। যে ডিএনএ নরপিশাচ তৈরি করে। সেই ডিএনএ দুই সন্তানের দেহেও রয়েছে। তাই তাদের হত্যা করলাম।
অভিযুক্তের স্ত্রী জানিয়েছেন, দিন সাতেক আগে দুই সন্তানকে নিয়ে ক্যাম্প করতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কোলম্যান। কিন্তু কোথায় ক্যাম্পেন করতে যাচ্ছেন, তা তিনি বলে যাননি। শুধু তাই নয়, তার পর থেকে ফোন বা ম্যাসেজে যোগাযোগ করা যায়নি। এই ঘটনায় কোলম্যানের স্ত্রীর সন্দেহ দানা বাঁধে। তিনি পুলিশে খবর দেন।
শেষে ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ অ্যাপের মাধ্যমে কোলম্যানের লোকেশন জানতে পারে পুলিশ। মেক্সিকোয় কুকীর্তি করে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরে আসছিলেন কোলম্যান। তখনই তাকে আটক করা হয়। পরে জেরার মুখে নিজের কীর্তির কথা স্বীকার করে নেন তিনি।
এমবি
