ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

জমছে ভাসমান পেয়ারার হাট, টানছে পর্যটকদেরও

জমছে ভাসমান পেয়ারার হাট, টানছে পর্যটকদেরও
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর ঝালকাঠির খালে-বিলে পেয়ারার ভাসমান হাট ও বাগান দেখতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভাসমান পেয়ারা হাট ও বাগানের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেন।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তিন জেলার ৫৫ গ্রামে পেয়ারার চাষ হয়। বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে কয়েক হাজার মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে এ পেয়ারা। আষাঢ়-শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে এলাকার নদী-খালে বসে পেয়ারার হাট। এসব হাট থেকে সারাদেশে পেয়ারা সরবরাহ হয়।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলি বিলসহ বিভিন্ন খালে পেয়ারার ভাসমান হাট এখন জমজমাট। এ হাটে স্বরূপকাঠি জাতের প্রতি মণ পেয়ারা ৪০০ টাকা পাইকারি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে থাই জাতের পেয়ারা প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮০০ টাকায়।


ঝালকাঠি কৃষি বিভাগ, পেয়ারা চাষি ও বাগান মালিক জানান, এ বছর সদর উপজেলার ২১ গ্রামে এক হাজার ৮৫০ একর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলি, কীর্তিপাশা, মীরাকাঠি, ভৈরমপুর, ডুমুরিয়া, খেজুরা, খোদ্দবরাহর, বেশাইন খান, শংকর ধবল, বেউখান, স্থানসিংহপুর ও নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম, হিমানন্দকাঠি, দাড়িয়াপুর, সওরাকাঠি ও কঙ্গারামচন্দ্রপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি পেয়ারা উৎপাদন হয়।


ভীমরুলি বিলকে ঘিরে পেয়ারা বাগানের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র পর্যন্ত তিনমাস ভাসমান নৌকায় বসে পেয়ারার হাট। চাষিরা নৌকায় পাইকারি ও খুচরায় পেয়ারা কেনাবেচা করেন।

প্রায় ২০০ বছর আগে ভীমরুলি বিলের আশপাশে পেয়ারার আবাদ শুরু হয়। এ জাতটি আনা হয়েছিল ভারতের তীর্থস্থান গয়া থেকে। পরে এটি স্বরূপকাঠি জাত নামে পরিচিতি পায়। বংশ পরম্পরায় এখানকার মানুষ পেয়ারার আবাদ করে আসছেন। সাধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে পেয়ারা গাছে ফুল আসে। আর ফল পাকা শুরু হয় আষাঢ় মাসে।

কীর্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহিম মিয়া বলেন, ঝালকাঠির পেয়ারা রাজ্যের সঙ্গে মিশে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে পেয়ারার ভরা মৌসুম। এসময় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভাসমান পেয়ারা হাট-বাগান ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেন।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, চাষিরা যে আবাদে লাভ বেশি পাবেন সেদিকেই আগ্রহী হবেন। যার ফলে এ এলাকার মানুষ পেয়ারা চাষে ঝুকছেন বেশি।


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন