দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ১২৫ কোটি টাকা


সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। শপিংমল-মার্কেটে, দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ১২৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তারা জানান, প্রতিটি দোকান থেকে কমপক্ষে এক কোটি থেকে এককোটি পঁচিশ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুট হয়ে গেছে। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ১২৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে স্ত্রীর গয়না ও দেশের জমি বিক্রি করে অর্থ যোগাড় করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
লুটপাটের ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেনাসদস্যদের নিয়মিত টহলের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে ভয় কাটেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাক্তার রূপম রহমান জানান, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আমারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সুপারিশ করেছি। ইতোমধ্যে সংসদীয় কমিটির সাথে এই বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি সরকারি সহায়তা পেয়ে প্রবাসীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে দফায় দফায় লকডাউনে সংকটে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। তাদের টিকিয়ে রাখতে সীমিত পরিসরে কিছু কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়। গত জুলাই মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে আদালত অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এতে জুমার সর্মথকরা কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে রাজপথে বিক্ষোভ করে। কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি পাল্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লুটপাট ও অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহে ১২২টিরও বেশি শপিংমলসহ ছোট-বড় বহু মার্কেট ও দোকানে মালামাল লুট হয়। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অনেক দোকানপাট।
১০ জুলাই রাত থেকে গাউটেং ও কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে আলেকজান্ডার, জোহানেসবার্গ সিটি, সোয়েটো, জেপিস টাউনের, ফোর্ডসবার্গ, ডেবিটন, একটনবিল, জার্মিস্টনে এ সব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটে। ডারবান, পিটারমেরিজবার্গ, লেডিস্মীথে বাংলাদেশি মালিকানাধীন অনেক প্রতিষ্ঠানেও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এইচকেআর
