পত্রিকায় ভুল সংবাদ : হাইকোর্টের অসন্তোষ


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলি সংক্রান্ত কোনো আদেশ স্থগিত করেননি হাইকোর্ট। এরপরও ‘দুদকের সেই কর্মকর্তার বদলির আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট’ শিরোনামে চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে। বিষয়টি নজরে আসায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ লিখেছে ‘দুদক কর্মকর্তার বদলির আদেশ হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন’। আসলে হাইকোর্ট স্থগিত করেননি। বরং হাইকোর্ট তার আবেদনটি ডিলিট করে দিয়েছেন। বিষয়টি শুনে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোর্ট আমাকে বলেছেন, আপনারা বিষয়টি দেখেন। আর আসল ফ্যাক্টটা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
দুদক আইনজীবী বলেন, আসল ফ্যাক্ট হলো- দৈনিক পূর্বকোণসহ চট্টগ্রামের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা হাইকোর্টের আদেশটা ট্যুইস্ট করেছে। এখন আমি অফিসিয়ালি এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
‘সেই দুদক কর্মকর্তার বদিল আদেশ স্থগিত’ শিরোনামে গত ২৯ জুলাই চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি আজ আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী। তখন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, না, আমরা এমন কোনো আদেশ দেইনি। এ সময় আইনজীবী ওই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আদালতকে দেখান। তখন আদালত দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানকে ডেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাজহরুল হকের স্বাক্ষরিত হাইকোর্টের একটি আদেশের অনুলিপির বরাত দিয়ে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন স্বপদে বহাল রাখার আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি করতে ওই আদেশ বলা হয়েছে।
কিন্তু লিখিত অনুলিপিতে দেখা যায় আইনজীবী তার সার্টিফাইড কপিতে দুই সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) লিখেছেন। কোথাও স্টে (স্থগিত) লেখা হয়নি।
এ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি পটুয়াখালীতে বদলি করে দুদক। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি ডিলিট করে দেন।
এইচকেআর
