পাঁচ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা!


বরগুনার বেতাগী-কচুয়া খেয়াঘাটে বিষখালী নদী পারাপারে পাঁচ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া যাত্রী হয়রানি, যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচারণ, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অদক্ষ চালক, অপর্যাপ্ত ও ত্রুটিযুক্ত ট্রলার দিয়ে নদী পারাপারসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
ঘাট ইজারাদার রুস্তুম আলী হাওলাদার ও নুরুল হক কচুয়ার স্থানীয় লোক হওয়ায় যাত্রীদের জিম্মি করে বিষখালী নদীর কচুয়ার পাড় থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণ যাত্রী পারাপারে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পাঁচ টাকার পরিবর্তে বর্তমানে লকডাউনে কারণে ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। এ ছাড়া ঈদুল আজহার সময় ১০০ টাকা আদায় করেছে। লকডাউন ও ঈদের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল পারাপারে ১০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা, বাইসাইকেল ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া পাঁচ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা, আসবাবপত্র ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা ও হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়।
ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পারাপারের নিয়ম থাকলেও সন্ধ্যা ৭টার পরও বিষখালী নদী থেকে পার হতে হলে চাইলে তার কাছ থেকে রিজার্ভ ৬০০-১০০০ টাকা আদায় করা হয়। টোল আদায়কারী মো. রুস্তুম আলী জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হয় এবং অনেকে ভাড়াও দেয় না। মোটরসাইকেলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিকারের জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয়সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি করেছি। কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি শুনেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচকেআর
