জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ধৈর্য হারানো যাবে না: ডমিঙ্গো


২০১৩ সালে সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল বাংলাদেশ। সেবার দুটি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। যার প্রথমটিতে হেরে গেলেও পরের ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ।
আট বছর পর আবারও জিম্বাবুয়ে সফর। সেবার জিম্বাবুয়ে যতটা শক্তিশালী ছিল এবার ঠিক ততটা নেই। এদিক থেকে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের ভঙ্গুর দলের বিপরীতে নিজেদের সব শক্তি নিয়েই গেছেন টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সঙ্গে থাকায় এর আগেও বেশ কবার জিম্বাবুয়ে সফর করেছিলেন মুমিনুলদের কোচ। সে হিসেবে ডমিঙ্গো জানেন এখানকার সবকিছু।
সোমবার অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, চাপ ধরে রাখার জন্য পরীক্ষা দিতে হবে ধৈর্যের।
“হারারেতে খেলার জন্য ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়। আমি কয়েকবার এসেছি এখানে। স্কোরিং রেট এখানে খুবই বেশি। ব্যাটিং বা বোলিং, যেটাই করুন না কেন, লম্বা সময় ধরে চাপ ধরে রাখতে হবে উইকেট পাওয়ার জন্য। এই ভেন্যুতে এমন হবে না যে ব্যাটিং লাইন-আপের ওপর চড়াও হলেন বা ৩৫০ রান তুলে ফেললেন। ‘হার্ড অ্যাট্রিশনাল’ ক্রিকেট খেলতে হবে। তারা খুবই স্মার্ট। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে ধৈর্য ধরি, শৃঙ্খল থাকি, সুযোগ আসলে সেসব কাজে লাগাই। সুযোগ সবসময় আসবে না এ ধরনের উইকেটে, আসলে যাতে নিতে পারি সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
দলের অন্যতম ভরসা সাকিব আল হাসান ফিরেছেন টেস্ট দলে। আট বছর আগে সবশেষ সফরে প্রথম টেস্টে ব্যাটে-বলে বিবর্ণ থাকলেও শেষ টেস্টে সাকিবই জিতিয়েছিলেন ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে। তাইতো টাইগারদের সেরা অল-রাউন্ডারকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ডমিঙ্গো।
“সাকিব টেস্ট খেলতে মুখিয়ে আছে। বড় প্লেয়ারদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এই অ্যাটিচিউডটা থাকা, তাকে ফিরে পাওয়াটা দারুণ। দলের ভারসাম্য বেড়ে যায়। টপ সিক্সে ব্যাটিং করে, ফ্রন্টলাইন বোলার। আন্তর্জাতিক প্রতিটি দলই এমন প্লেয়ার পেতে মুখিয়ে থাকে। সে এই সফরে এনার্জি ও অ্যাটিচিউড এনেছে।”
এমবি
