করোনায় বিপাকে আমতলীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা


বরগুনার আমতলীতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন চলছে। লকডউনের প্রভাবে বিপাকে পড়েছেন আমতলীর পাঁচ শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ক্ষতির মুখে অনেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। ঘুরে দাঁড়াতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজ বা ঋণ সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও কোন সুবিধা পাননি এ ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজ বা ঋণ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা। আমতলী সদর রোড এলাকায় ভ্যানে আম বিক্রি করছেন আরাফাত হোসেন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তিনি জানান, লকডাউনের কারনে তার ব্যবসা চালে উঠেছে, বাজারে কোন লোকজন নাই । যে আম বিক্রির জন্য ক্রয় করে আনেছি তা বক্রি করতে না পারায় পচে গেছে। এই আম বিক্রি করে ৪ জনের সংসার চালা¦ই। এখন না খেয়ে থাকার অবস্থা।
সদও রোডের আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র বলেন বাবা ও মা অসুস্থ ছোট্র একটা চায়ের দোকান এটাই রোজগারে এক মাত্র সম্বল। লকডাউনে বন্দ থাকায় অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। গালর্স স্কুল রোডের ছোট একটি চায়ের দোকানের মালিক শাহাদুল বলেন, দৈনিক ৫শ ১ হাজার টাকা বিক্রি হয় দোকানে তা দিয়ে ৫ জনের সংসার চলে। লকডাউনে দোকান বন্দ থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকার অবস্থা অন্যদিকে এনজিওর কিস্তির টাকার জালা। কোথায় যাবো কি করবো জানিনা।
এ প্রসঙ্গে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কারো পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হবে।
এইচকেআর
