কাউখালী হাট-বাজারে নেই উন্নয়নের ছোঁয়া


পিরোজপুরের কাউখালীতে অভ্যন্তরীণ হাট-বাজারগুলো চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। উপজেলার কোন হাটবাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি দীর্ঘ বছর। যার ফলে ভোক্তারা চরম বিপাকে পডছে প্রতিনিয়ত। এমনকি কাউখালী বন্দর হাট-বাজারের একই চিত্র।
এই বন্দর ব্রিটিশ আমল থেকে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে যুগ যুগ ধরে দক্ষিণ অঞ্চলের বৃহৎ সুপারির হাট হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে। এই হাট থেকে কোটি কোটি টাকার সুপারি ঢাকা, চিটাগাং যশোর এমনকি ইন্ডিযা সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।
সরকার কাউখালী হাট বাজার থেকে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব আদায়করেন। হাট বাজারে আসা ব্যবসায়ী কিংবা ভোক্তারা সরকারের রাজস্ব আদায়ে অবদান রাখছেন অথচ তারা কোনো নাগরিক সুবিধা পাইতেছেন না। বন্দের উত্তর বাজার দক্ষিণ বাজার প্রায দুই কিলোমিটার নিয়ে অবস্থিত।
সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার বাজার বসে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বরূপকাঠি, রাজাপুর, হুলারহাট, ভান্ডারিযা,ঝালকাঠি থেকেও হাজার হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতা ধান, চাউল,নারিকেল,সুপারি ক্রয় ও বিক্রয় করতে আসেন এই বাজারে। এছাড়া বরগুনা, বাগেরহাট,চিতলমারী, , পয়সারহাট, পাথরঘাটা,পটুয়াখালী সহ বিভিন্ন নদী বন্দর থেকে মাছ নিয়েও আসে শুক্র-সোম বারের হাটে।
বহিরাগতদের উপস্থিতির কারণে দিন দিন বাডছে রাজস্ব আয়। অথচ এই বাজারের উন্নয়নের জন্য নেই কোনো স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী পরিকল্পনা। সেই আদি যুগের ভাঙ্গাচুরা টোলঘরে বসতে হয় ব্যবসায়ীদের। সামান্য বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানিতে টোল ঘর সয়লাব হয়ে কাদা ময়লায় একাকার হয়ে যায় ক্রেতা বিক্রেতা সবাই।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকয় সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারের মধ্যের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো ডুবে যায় যেকারণে সামান্য ঝড় বৃষ্টি হলে বাজার ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়ে। উত্তর ও দক্ষিণের মাছ বাজার গুলোর অবস্থা খুবই কর”ন।এখানে জোয়ারের পানি আসলে টোল ঘরে আশপাশের রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায়।
যার ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিবর্তে অনেক সময় কমছে। এ ব্যাপারে বাজারের ইজারাদার মোঃ হারুনুর রশিদ খান জানান, মাছের ঘর, চাউলের আড়ত, মাংস বিক্রির ঘরগুলো অনেক পুরনো হওয়ায় সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে ময়লা কাদাপানিতে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় সকলকে। যার ফলে রাজস্ব আদায় হুমকির মুখে রয়েছে।
বাজারের রাজস্ব আয় দিয়ে বাজার উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট একটি টাকা উন্নয়ন তহবিল নেওয়া হয়। অথচ বাজারে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হয়না। দক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী আল আমীন, বলেন বাজারের অভ্যন্তরীণ সকল রাস্তাগুলো একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সবসময় পানি ময়লা কাদায় ভরপুর থাকে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের কোন সুযোগ নাই পাবলিক টয়লেট প্রসাব খানা নাই বললেই চলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা জানান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বর্তমানে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং কাজ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
এইচকেআর
