ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

আওয়ামী সরকারের করা চুক্তিতে হাসিনাকে ভারত থেকে আনা সম্ভব

 আওয়ামী সরকারের করা চুক্তিতে হাসিনাকে ভারত থেকে আনা সম্ভব
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশ থেকে ফেরত আনার বিষয়ে বহিঃসমর্পণ চুক্তি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার করে গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

বুধবার (১৪ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটা দেশের সঙ্গে আমাদের এক্সট্রাডিশন ট্রিটি (বহিঃসমর্পণ চুক্তি) রয়েছে, তার মধ্যে ভারত একটা। এই সুযোগ তৎকালীন সরকার ২০১১ সালে তৈরি করে গেছে। আমাদের অপরাধী ধরে আনার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো অসুবিধা নেই।


বুধবার সকালে সাবেক ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের দুদকের তলবে হাজির হওয়া না হওয়ার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারালেন। শুধু টিউলিপ নন, নিয়মানুযায়ী সবাই সে সুযোগ পাবেন। কেউ উপস্থিত না হলে পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে যে পদ্ধতি সেটা অনুসরণ করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের তার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যেকোনো নাগরিকই সেটা পাবেন।

আমাদের অন্যান্য অভিযুক্তের মতো তিনিও একজন অভিযুক্ত। আজকে তার দুদকে এসে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তিনি নিজে এটা ফেস করবেন, আমরা আমাদের পদ্ধতিগতভাবে এগিয়ে যাব। একজন মামলার আসামি অনুপস্থিত থাকলে ইনঅ্যাবসেন্স ট্রায়াল হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি যদি আদালতে হাজির না হন, আমরা আন্তর্জাতিক যে পদ্ধতি রয়েছে সেটা অবলম্বন করব।

আন্তর্জাতিক পদ্ধতির বিষয়ে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যদি আমরা স্বাভাবিকভাবে তাকে না পাই, তিনি যেহেতু বিদেশি নাগরিক কিংবা তিনি যদি পলাতক হন, সেক্ষেত্রে  ইন্টারপোলের সহায়তায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হবে।

এ সময় বিমানবন্দরের দুর্নীতি বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সিভিল এভিয়েশনের চারটি প্রকল্পের অনুসন্ধান আমাদের কাছে চলে এসেছে- থার্ড টার্মিনাল, রাডার স্থাপন, কক্সবাজার বিমান বন্দর ও সিলেট বিমান বন্দর। প্রতিবেদনগুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়টি কঠিন জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটা কঠিন। আগে তাদের শনাক্ত করতে হবে, টাকা কারা পাচার করেন। ইতঃপূর্বে আমাদের কমিশন থেকে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে, যারা বিদেশে অবস্থান করেন কিংবা বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তাদের সন্তান সন্ততি যারা ওখানে থাকছেন, অধিকাংশই কিন্তু বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে চলে যাচ্ছে।

বিদেশে মন্ত্রী এমপিদের সন্তানদের আয়েশি জীবনযাপনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মোমেন বলেন, আমাদের সক্ষমতা আপনাদের বুঝতে হবে! তারা সেখানে কীভাবে আছে সেটা আপনারাই আমাদের জানাচ্ছেন। তখন আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, তারা এত টাকা পাচার করেছে যে তাদের সন্তানরা আয়েশি জীবনযাপন করছে। এমনও হতে পারে ফাঁক-ফোকর গলিয়ে এখনো টাকা যাচ্ছে। গিয়ে থাকলে সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন