কোষাধ্যক্ষের গাড়ি ব্যবহার করছেন ববি রেজিস্ট্রার


নিয়মের তোয়াক্কা না করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের গাড়ি ব্যবহার করছেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম।
যদিও তার দাবি, সাবেক উপাচার্যের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি এ গাড়ি ব্যবহার করছেন। কিন্তু ছাত্র জনতা গণ অভুথ্যানের পরে প্রধান উপদেষ্টার অফিসের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর বর্তমানে তার কোষাধ্যক্ষের গাড়ি ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি এখনো গাড়িটি ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
তবে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারী কর্মকর্তাদের। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে এক আদেশ জারি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া শেষ সময়ে তার পদ টিকিয়ে রাখতে ট্রেজারারের গাড়ি রেজিস্ট্রারকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন।
এসময় রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম উপাচার্যের কাছে থেকে লিখিত নিয়ে রাখেন। গাড়ি অব্যবহৃত থাকলে গাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে- এমন কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রারকে এ গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক উপাচার্য।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রারের গাড়ি থাকার কথা থাকলেও আমি এখনও পাইনি। তাই ট্রেজারার (কোষাধ্যক্ষ) না থাকায় গাড়িটি পড়ে ছিল।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া অফিসের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য লিখিত অনুমতি দিয়েছেন। ব্যক্তিগত প্রয়োজন এই গাড়ি ব্যবহার করি না। তবে ট্রেজার আসলে তার গাড়ি তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শূচিতা শরমিনের কাছে জানতে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি তিনি।
এইচকেআর
