মুলাদীতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার


মুলাদীতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘেরে অভিযান চালিয়ে মুলাদী ৭নম্বর কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাসকে গ্রেফতার করছে।
উপজেলা বিএনপির মঞ্চ ভাঙার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়ছে বলে জানা যায়। সম্প্রতি যুবদল নেতা জসিম সিকদার এই মামলাটি দায়ের করছেন।
মন্টু বিশ্বাস ২ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, সরকারী খাস জমি দখল করে মাছের ঘের নির্মাণসহ ইউপিতে সেবা নিতে আসা মানুষের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়ছে।
স্থানীয়রা জানায়, একসময় উপজেলা আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ারের ইউসুফ আলীর শীর্ষ ছিলেন মন্টু বিশ্বাস। এলাকায় জমির ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ ও জুয়া খেলাই তার প্রধান পেশা ছিল।
কিন্তুু তার আপন ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের এপিএস হলে রাতারাতি তাদের ভাগ্যে বদল হতে শুরু করে। মূলত তার ভাই হারুন বিশ্বাসের আইন ক্ষমতার দাপটেই তিনি পর পর দু’বার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হয়েছেন।
হারুন বিশ্বাসের ক্ষমতার দাপটে তিনি এলাকার কোন আইন মানতে না। যা বলতেন তাই আইন হয়ে যেত। কেউ কোন ব্যাপারে মুখ খুললেই তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করতেন।
এলাকায় শতশত একর জমি দখল করছে বলেও অভিযোগ রয়ছে। একটি সরকারী খাল বাঁধ দিয়ে সেখানেও গড়ে তুলছেন খামার। উপজেলার একজন সাংবাদিক এ ব্যাপারে সংবাদ করতে চাইলেও তাকে হয়রানী করে হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাস।
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে হারুন বিশ্বাসের নামে কয়েকটি মামলা হয়, বর্তমানে তিনি আত্নগোপনে আছে। তবে মন্টু বিশ্বাস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি মুলাদী গাছুয়া বিএনপি অনুষ্ঠানের একটি মামলার আসামি ছিলেন। তাকে ঐ মামলাই গ্রেফতার দেখানো হয়ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয় মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, মন্টু বিশ্বাসের বিরদ্ধে মামলা আছে, তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়ছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়ছে।
এইচকেআর
