মঠবাড়িয়ায় সেই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন জেসমিন সুলতানা


নারী কেলেঙ্কারী ও একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরে ৫৬ নম্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর তাকে প্রতাহারের জন্য অভিভাবকরা ফুসে ওঠে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করেছেন। এরি প্রেক্ষিতে প্রশাসন গত এপ্রিল মাসে বিতর্কিত শিক্ষক মাইনুল ইসলামকে বদলী করেন। বর্তমানে তিনি ৫২ নম্বর মধ্য মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।
আলোচিত এ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেসমিন সুলতানা। তিনি সহকারি শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার গোলাম হায়দার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের শূণ্যপদ পূরণের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে শূণ্যপদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৫ জন।
তারা হলেন, ৮৭ নম্বর মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম, ৯৪ নম্বর নলী বিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন্ত্র হালদার, ৭৯ নম্বর পূর্ব ছোট মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিং কৌরি তালুকদার, ৮০ নম্বর বিএন হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন এবং ৫১ নম্বর উত্তর মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ পাল।
৫৬ নম্বর মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রশাসনিক কারনে সদ্য বদলি হওয়া প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম পুনরায় এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিতর্কিত শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, প্রশাসনিক কারনে বদলি হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে কোন শিক্ষক পুণঃ বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এইচকেআর
