ঝালকাঠি যুবলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭, ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর
ঝালকাঠি শহরে অবোরোধ বিরোধী মহরা চলাকালীন সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুব লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ ছয়জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফের সাথে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের বিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার শহরের পোস্ট অফিসের সামনে বিএনপির ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে মহরা দেওয়ার জন্য দুই পক্ষ মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় পুরনো বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় ১০টি মোটরসাইকেল।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে শহরে যুবলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার।
এক পক্ষের আহতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন (৪০), ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু (৩৭), যুবলীগকর্মী (হারুন হাওলাদার (৫০) ও সাগর (৩০), অপর পক্ষের আহতরা হলেন যুবলীগকর্মী মো. মামুন (৩৫), আব্দুল জলিল (৪০) ও ছাত্রলীগকর্মী শফিকুল ইসলাম (২৬)।
জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির অভিযোগ করেন, মিলনের সমর্থকরা তাদের মহড়ার পেছন দিক থেকে হামলা করে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আহত করে। এ ঘটনার পর সংঘর্ষ শুরু হয়।
অন্যদিকে সৈয়দ মিলনের সমর্থকরা জানান, তাঁরা অবরোধ বিরোধী মোটরসাইকেল মহড়া দেয়ার সময পোস্ট অফিস সড়কে তাদের বহরে য্বুলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির ও কামাল শরীফের অনুসারিরা হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরকার জানান, যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে হামলা সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ দুই পক্ষকেই সরিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভিক রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচকেআর
