কাতার প্রবাসি আদম ব্যাপারির খপ্পড়ে নিঃস্ব মঠবাড়িয়ার-পাথরঘাটার ১৩টি পরিবার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আশীষ কুমার হাওলাদার নামে এক কাতার প্রবাসির (আদম ব্যাপারি) খপ্পড়ে পরে কাতারে গিয়ে প্রতারিত ও নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে এসেছে মঠবাড়িয়া ও পাথারঘাটার ১৩ যুবক।
এদের ১০ জন মঠবাড়িয়ার বিভিন্ন গ্রাম ও তিন জন পার্শ্ববর্তী পাথরঘাটার চরদুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা। এক লাখ টাকা বেতনের প্রলোভনে ওই আদম ব্যাপারি অর্থ ও জমি লিখে নিয়ে এসব যুবকদের চলতি বছরের মাঝামাঝি কাতার নিয়ে কাজ না দিয়ে মারধর করে দেশে ফেরত পাঠায়। আশীষ কুমার গত সাত বছর কাতারের সানাইয়া নামক এলাকার ৫৭ নম্বর আলবানা ষ্ট্রীটে ৩৬ নম্বর বাসায় বসবাস করে এ প্রতারণা করে আসছে।
প্রতারণা ও নিনর্যাতনের শিকার এ যুবকরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সম্মূখ সড়কে বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেন। এসময় বক্তব্য দেন, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সুদর্শন পাইক, সমীর হালদার, রাজিব মিস্ত্রী, প্রীতম গাইন, কিশোর গোলদার, পাশ্ববর্তী পাথরঘাটার চরদুয়ানী গ্রামের পবিত্র গোলদার ও মিন্টু অধিকারি প্রমূখ।
তরুণরা অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের মৃত সতীশ হাওলাদার এর ছেলে কাতার প্রবাসি আশীষ হাওলাদার ও তার স্ত্রী নূপুর হালাদার মিলে মঠবাড়িয়া,পাথরঘাটার অন্তঃত ৪০ থেকে ৫০ জন বেকার যুবকদের কাতারে লোভনীয় বেতনে চাকুরি দেয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৮ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
অনেকে টাকা দিতে না পারায় তাদের কাছ থেকে সমপরিমান অর্থের জমি লিখে নেন। তাদের কাতার নিয়ে ১ মাস রাস্তা ক্লিনার ও পরিবহনে মাল আনলোডের কাজ দেয়। একমাস কাজ শেষে তারা কর্মহীন হয়ে পড়ে। এক পর্যায় আদম ব্যাপারি আশীষ তাদের আর কোনও কাজ দিতে না পারায় প্রবাসি যুবকরা চরম অর্থ ও খাদ্য সংকটে পরে মানবেতর জীবন যাপন করে। এমনকি প্রতারক আশীষ কর্মহীন যুবকদের মারধর ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরে বিপাকে পড়া তরুণরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে প্রাণভয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন।
এ ব্যাপরে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামমরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আদম ব্যাপারির খপ্পড়ে পড়ে প্রতারণার শিকার এ যুবকরদের মৌখিক অভিযোগ শুনেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তি কাতারে অবস্থান করায় যুবকদের জনশক্তি কর্মসংসস্থান ব্যুরোতে অভিযোগের প্রাথমিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এইচকেআর
