ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

ভাগ্য ফিরছে আরাফাতের!

ভাগ্য ফিরছে আরাফাতের!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আরাফাত জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী কথা বলতে পারেনা,মানসিক ভারসাম্যহীন। কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। নাম আরাফাত বয়স ১১ বছর। আরাফাত জন্মের এক বছর পরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন বাবা জাফর বিশ্বাস। মারা গেছে তাও ১০ বছর হয়ে গেছে। 

তিন বছর আগে মা খাদিজা বেগম দ্বিতীয় বিবাহ করে স্বামীর ঘরে চলে গেছেন আরাফাতকে রেখে। বাধ্য হয়ে আরাফাত স্থানহয় নানীর কাছে কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় প্রায় সময় ঘর থেকে বের হয়ে যায়। প্রায়ই কোথাও হারিয়ে গেলে নানি সাফিয়া বেগম খুঁজে বেড়ায়। 

হারিয়ে যাওয়ার চারদিনের মাথায় স্বজনদের খূজে পাওয়ার পর ভাগ্য ফিরছে মানসিক ভারসাম্যহীন আরাফাত হোসেনের। ছেলে প্রতিবন্ধি হওয়ায় মা খোঁজ খবর না নেওয়ায় নানীর সাথে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন আরাফাত প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে,আর নানী সাফিয়া বেগম পাচ্ছেন বিধবা ভাতা। 

পাথরঘাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার  এ ঘোষণা দেন। আরাফাতকে উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন সমাজসেবা অধিদপ্তর। এদিকে উপজেলা পরিষদ থেকে আরাফাতের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার  ঘর দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেছেন। এর আগে রোববার (১৩জুন) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেংরা বাজারে আরাফাতকে স্থানীয় রনি নামে এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী দেখতে পান। 

পরে স্থানীয় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকনকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানাকে অবহিত করেন পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে আরাফাতের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আরাফাতকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ওই দিন রাতে স্থানীয় সমাজকর্মী মেহেদী শিকদার ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মলি­কের সহযোগিতায় পাথরঘাটা থানায় নিয়েযান সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন।  

পরে সোমবার (১৪জুন) সকলে নির্বাহী আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বরগুনা শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে সমাজসেবা কার্যালয়ে আরাফাতের নানি সাফিয়া বেগম ও মামা জালালের নিকট হস্তান্তর করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, পাথরঘাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মনির”ল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন, বরগুনা শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। আরাফাতের নানী সাফিয়া বেগম বলেন, আমার নাতি হারিয়ে যাওয়ার পর অনেক জায়গায় খুঁজেছি পাইনি। আজকের যারা আমার নাতিকে আমার হাতে এনে দিয়েছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন