`দেখি শুধু পানি আর পানি'


আমি ছিলাম বাসে দাঁড়ানো, দাঁড়ানো অবস্থায় পানিতে তলিয়ে গেছি,এরপর অনেক পানি খেয়েছি আমারে কারা জানো টেনে বের করেছে, আর কিছু দেখি নাই দেখি শুধু পানি আর পানি। আমি শুধু দোয়া ইউনুস পড়েছি। আর আল্লাহরে বোলাইছি, আল্লাহ রহমত করছে, আল্লাহ আমার ডাক শুনছে, আল্লাহ আমারে বাঁচাইছে। সাথেই আমার স্ত্রী ছিল চালকের কাছে দাঁড়ানো তারেও আল্লাহ বাঁচাইছে। সব ছিলাম দাঁড়ানো সিট ছাড়া।
অনেক লোক দাড়িয়েও থাকতে পারি নায় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল এত লোক নিয়েছিলো। ওরে চালান চালানি, অনেক জোরে চালাইতে ছিল এমনটাই ঢাকা মেইলকে জানিয়েছিল বাস দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা আহত যাত্রী আব্দুল জলিল হোসেন। আব্দুল জলিল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশ্য বাসার স্মৃতি বাসটিতে উঠেছিলো।
শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন শিশু। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৩৫ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাচ্ছিল।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, নিহত বা আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় চালকসহ তিনজনের নামে গত রোববার রাতে ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুশংকর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।
এইচকেআর
