ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news
‘দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। তাই চারদিন ধরে মাছ বিক্রি বন্ধ রাখছি- বিক্রেতা আলমগীর তালুকদার’

প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের 

প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঢাকায় কিছুটা কমলেও বরিশালে বাজারে মাছ ও সবজির দাম আরো বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ খুচরা ব্যবসায়ী মাছ না পেয়ে তাদের ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।  

এদিকে গত মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা সরকারি ভাবে কমানো হলেও বরিশালে এখনো বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। নতুন দাম অনুসারে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৭৯ টাকা। বুধবার থেকে কোম্পানিগুলো নতুন এই দাম কার্যকর করলেও বিক্রেতারা পুরনো বোতলজাত তেল আগের দামে ২০০ টাকায়ই বিক্রি করছেন। 

অন্যদিকে তেল ব্যবসায়ীদের কথা হচ্ছে- আগে বেশি দামে কেনা তেল কোম্পানি তুলে নিচ্ছে না। তাই বেশি দামে কেনা তেল কমদামে বিক্রির সুযোগ নেই।

মুদি ব্যবসায়ি কামাল হোসেন জানান, সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে এখনও তেল না আসায় আগের দামেই তেল বিক্রি করা হচ্ছে। 

শুক্রবার দুপুরে নগরীর সাগরদি, বাংলাবাজার, পোর্টরোড বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে মাছের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

 বড় ও মাঝারি আকারের তেলাপিয়া মাছের কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা।  আকারভেদে পাঙ্গাশ মাছের কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। বড় আকারের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মাঝারি চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, পোয়া বড় সাইজের মাছ কেজি প্রতি ৪০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকায় ও দেশি শিং মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই পর্যন্ত থাকবে। এতে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশ দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০, সোনালি মুরগি ২৭০ ও কক ৩৬০ টাকায়। ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। তবে কেজিতে ৫০ টাকা কমে গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

বাংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, মাছের দাম ঈদের আগে থেকেই বাড়তি, ঈদের পর নতুন করে আবার বেড়েছে। মূলত বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ অবস্থা। ঈদের পরে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। 

পোর্টরোডের ইলিশ মাছ বিক্রেতা হাসান বলেন, সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে, তাই বাজারে ইলিশের সংকট। এজন্য দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। 
 


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন