ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক শাহজাহান, পরিচালক নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম।

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যগণের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়, যার নম্বর ২১৫১৫০০০০২৫৬৮। 

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন পূর্বেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই এগ্রিমেন্টে ৮ মে খোলাকৃত ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব।

রেকর্ডপত্রাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এককোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শতার্দি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে উক্ত অর্থ আত্মসাতপূর্বক অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর/রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় মঙ্গলবার একটি মামলা রুজু করা হয়।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন