ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

সময়মতো বাংলো ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন রাহুল গান্ধী

সময়মতো বাংলো ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন রাহুল গান্ধী
ছবি: সংগৃহীত 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকারি বাংলো ছেড়ে চলে গেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভার সদস্য হিসেবে দুই দশক ধরে দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক সড়কের এ বাংলোটিই ছিল তার ঠিকানা। শনিবার (২২ এপ্রিল) দীর্ঘদিনের এ বাসস্থান ছেড়ে ১০ নম্বর জনপথে মা সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে চলে যান রাহুল।

কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, আপাতত মায়ের বাসস্থানেই থাকবেন রাহুল গান্ধী। এমনকি, তার সব কর্মীরাও ১০ জনপথ থেকে কাজ করবেন। শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সরকারি বাসস্থানের চাবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য লোকসভার হাউজিং কমিটির কাছে সোমবার পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

‘মোদি’ পদবি মামলায় সুরাট আদালতের রায়ে দুই বছরের জেল হওয়ার পরদিনই লোকসভা সচিবালয় রাহুলের সদস্যপদ খারিজ করে দেয়। তার পরের দিন চিঠি দিয়ে জানানো হয়, এক মাসের মধ্যে রাহুলকে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে হবে।


নির্দেশ মেনে রাহুলও জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তিনি তা করবেন। কিছুদিন ধরেই ধীরে ধীরে ১২ তুঘলক লেনের বাংলো থেকে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ১০ জনপথে নিয়ে যান রাহুল।


শনিবার সকালে বোন প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে দুবার তুঘলক লেনের আবাসস্থলে যান। বেলা তিনটা নাগাদ শেষবারের মতো বেরিয়ে যান বাংলো থেকে। ২০০৫ সালে লোকসভার হাউজিং কমিটিই এই সরকারি বাংলো সাংসদ হিসেবে রাহুলকে বরাদ্দ করেছিল।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাহুল চাইলে আরও কিছুদিন এ বাড়িতে থাকার আবেদন করতে পারতেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিদায়ী সংসদ সদস্যরা বাজারদরে ভাড়া দিয়ে আরও কিছুদিন থাকার অনুরোধ করতেও পারেন।


আবার সরকার চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য হয়েও কেউ কেউ অনির্দিষ্টকাল সরকারি বাংলো রেখে দিতে পারেন। যেমন রয়েছেন বিজেপির সাবেক নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী কিংবা সাবেক কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ। তাদের কাউকেই ঘর ছাড়তে বলা হয়নি। রাহুল সেই পথে পা বাড়াননি। অনুরোধ–উপরোধের পথে হাঁটেননি।


এদিকে, বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ পাওয়ার পরই রাহুলকে ‘বাড়ি দেওয়ার’ হিড়িক পড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ‘হ্যাশট্যাগ মেরা ঘর আপকা ঘর’ প্রচার ছড়িয়ে পড়ে। কংগ্রেস নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রাহুলকে নিজের ‘ঘর’ ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার শুরু করেন।

শনিবার এক টুইটে কংগ্রেস লেখে, গোটা দেশই রাহুলের ঘরবাড়ি। রাহুল দেশবাসীর হৃদয়ে বাস করেন। এ সম্পর্ক চিরন্তন। তিনি কারও পুত্র, কারও ভাই, কারও নেতা। রাহুলের কাছে সবাই তার, তিনিও সবার। সেজন্যই আজ সবাই বলতে পারছে, রাহুলজি, আমার ঘর আপনারই ঘর।

কেরালার লোকসভার সদস্য শশী থারুর টুইট করে বলেন, নির্দেশ মেনে রাহুল আজ বাড়ি ছেড়ে দিলেন। অনুকরণীয় এ দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল টুইট করে বলেন, এ সব ছোটখাটো ঘটনা তুচ্ছ। মানুষের জন্য কথা বলার ক্ষেত্রে যেসব বাধা আসছে, তা রাহুল গান্ধীর পথ আটকাতে পারবে না। পুরো দেশের দরজা তার জন্য খোলা।

সূত্র: এনডিটিভি


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন