ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিনিময়, আরসা কমান্ডার নিহত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিনিময়, আরসা কমান্ডার নিহত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের সঙ্গে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুল মজিদ লালাইয়া নামের একাধিক হত্যা মামলার আসামি এক আরসা কমান্ডার (৩৪) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্প-১৯ এর ব্লক এ-৮ ঘোনারপাড়া এলাকায় থেমে থেমে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন ও মিডিয়া) ফারুক আহমেদ।

নিহত আব্দুল মজিদ (লালাইয়া) উখিয়ার ক্যাম্প-১৩, ব্লক-ই/৩ এর তাজনিমার খোলা এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আব্দুল মজিদ লালাইয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও আরসা কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।


এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এর ব্লক-এ/৮ এর বাসিন্দা কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), একই ক্যাম্পের ব্লক- এ/১৭ এর বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও ব্লক-এ/৮ এর বাসিন্দা সলিমুল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।

এপিবিএন সূত্র জানায়, ক্যাম্প-১৯ এর তাজনিমারখোলার ঘোনারপাড়ায় ক্যাম্প-১৯ এর ব্লক এ-৮ এর আমিন মাঝির বাড়ির পাশে কয়েকটি ঘরে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশের ২০-২৫ জনের একটি দল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০টার দিকে ঘোনারপাড়ার জনৈক হামিদা বেগমের (৩১) ঘর এবং আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী পুলিশকে রক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

প্রায় আধাঘণ্টা গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকা ও ঘর তল্লাশি করে তিনজনকে গ্রেফতার করে। পাশের রুমে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়ার গুলিবিদ্ধ মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহের বাম হাতের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে ৮ এপিবিএন অধিনায়ক আমির জাফরসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন