ইমান আলীর ইচ্ছাপূরণ করছেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ


পবিত্র হজ পালনের ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্য ছিল না নব্বই বছরের বৃদ্ধ ইমান আলী এখমান্দারের। এজন্য তিনমাস ধরে তিনি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ফেরি করে পান বিক্রি করেছেন। উদ্দেশ্যে হজের টাকা জোগাড় করা।
গত ১৭ মার্চ এ নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর দুদিনের মাথায় ইমান আলীর হজের যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তার হজ পালনের পুরো খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
শুধু হজের খরচ নয়, সৌদি আরবে পুরো রমজান মাস থেকে ইমান আলীকে ইবাদত-বন্দেগি করার ব্যবস্থা করেছেন এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইমান আলীকে নিয়ে খবর প্রকাশের পরে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি আমাকে ফোন করেন। তিনি জানান, কুয়াকাটাতে যে লোকটি পান বিক্রি করে হজে যাওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করছেন, তার হজের সব খরচের দায়িত্ব তিনি নিতে চান। পরে আমি ইমান আলীকে ঢাকায় নিয়ে আসি। তার সব কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২৭ মার্চ ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাওয়ার দিন-তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘১৯ মার্চ রাতে আমি ইমান আলীকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। পরদিন সব কাজ শেষ করেছি। আজকে (মঙ্গলবার) আবার তাকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। আগামী ২৭ মার্চ এক মাসের সফরে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন। পুরো রমজান মাস তিনি ওখানে থাকবেন। এর সব ব্যবস্থা করেছেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।’
ইমান আলী এখমান্দারের বাড়ি পটুয়াখালীর মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিড়াজোড়া গ্রামে। তিনি দুই ছেলের বাবা। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। দুই ছেলে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনোমতে সংসারের খরচ মেটে। হজের জন্য টাকা জোগাড় করে বাবাকে সৌদি আরবে পাঠানোর স্বপ্নপূরণ করতে পারছিলেন না তারা। এজন্য ইমান আলী নিজেই ফেরি করে পান বিক্রি শুরু করেন।
এদিকে, বৃদ্ধ ইমান আলীকে হজে পাঠানোর দায়িত্ব নেওয়ায় তিনিসহ এলাকার বাসিন্দারা খুশি। তারা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এইচকেআর
