ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

পাথরঘাটায় ৩ দিন মুরগি বিক্রি বন্ধ

পাথরঘাটায় ৩ দিন মুরগি বিক্রি বন্ধ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

মুরগি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পৌরসভার খাজনা নিয়ে বিরোধ থাকায় বরগুনার পাথরঘাটায় তিন দিন ধরে মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছে ব্যাবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা ও হোটেল ব্যাবসায়ীরা।

আজ শনিবার দুপুরে পাথরঘাটা শহরের মুরগি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ব্যাবসায়ীরা। এ সুযোগে গ্রাম থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেছে। তাও ঘন্টা খানেকের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। 

সেরাজুল ইসলাম জানান, আমি চাকরি করি। সপ্তাহিক ছুটির দিনে পুরো সপ্তাহের বাজার করি। আমার ছোট ছেলে মুরগির মাংস ছাড়া ভাত খেতে চায় না। দুদিন ধরে বাজারে এসেও মুরগি কিনতে পারিনি। আজকে অনেক অনুরোধ করছি তারপরও মুরগি বিক্রি করেনি ব্যাবসায়ীরা। 

হোটেলের মালিক জাকির হোসেন জানান, ক্রেতারা কম দামে মুরগির মাংস চায়। তিন দিন হোটেলে মুরগি রান্না হয়নি। এছাড়াও দাম বেশি হওয়ায় গরু বা খাশির মাংস হোটেলে চলে কম। 

মুরগি ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, জেলা পরিষদের নির্ধারিত হারে খাজনা পরিশোধ করে আসলেও পাথরঘাটা পৌরসভা থেকে মুরগির ড্রেসিংয়ে বাড়তি তিন টাকা খাজনা নির্ধারণ করেছে। যা দেশের কোথাও নেই। এ খাজনা না দেওয়ায় কারণে মুরগি ড্রেসিং মেশিন পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে। 

মুরগি ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম হোসেন জানান, ড্রেসিংয়ে মুরগি প্রতি বাড়তি তিন টাকা করে খাজনা ধার্জ করছে পৌরসভা। না দেওয়ায় মেশিন তুলে নিয়ে গেছে। মুরগি ড্রেসিং করে না দিলে ক্রেতারা মুরগি কিনতে চায় না। তাই ড্রেসিংয়ের ওপর খাজনা বাতিলসহ মেশিন ফেরত দেওয়ার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছি। 

পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, ‘মুরগি ব্যবসায়ীরা পৌরসভার নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছে না। পাশাপাশি খোলা জায়গায় মুরগি ড্রেসিং করে পরিবেশকে ধ্বংস করছে। এ কারণে তাদের মেশিন জব্দ করা হয়েছে। 

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ‘পৌরসভার সঙ্গে খাজানা বিষয়ে ঝামেলা রয়েছে। এটি পৌরসভার বিষয়। তারাই সমাধান করবে।’ 


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন