ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক বিজিবি কর্মকর্তাকে মারধর 

বরগুনায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক বিজিবি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে বরগুনা পৌরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বুধবার রাত নয়টার দিকে বরগুনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রমিজ মোল্লাকে (৪৫) প্রধান অভিযুক্ত করে আরও সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ক্রোক এলাকার মৃত মানিক মোল্লার ছেলে মো. রফিকুল মোল্লা (৪০), কাউন্সিলর রমিজ উদ্দিন মোল্লা ছোট ভাই সানাউল্লাহ সানী (৪০), মালেক মোল্লার ছেলে মো. খোকন মোল্লা (৪২), পনু মোল্লার ছেলে মো. বেল্লাল মোল্লা (৫০), মৃত ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. আলতাফ মোল্লা (৪৮), একই ওয়ার্ডের কেজি স্কুল সড়কের মোশারেফ মাস্টারের ছেলে শান্ত (২২) ও সোনা মিয়ার ছেলে মো, কালু (২০)।

মারধরের ঘটনায় আহতরা হলেন, বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা বিজিবির সাবেক সুবেদার মেজর গোলাম সরোয়ার (৬০), তার স্ত্রী মোসাঃ শামীমা সুলতানা লাকী (৫০) এবং তাদের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম শাওন (২৫)। আহত তিনজনকেই বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মারধরে আহত মোসাঃ শামীমা সুলতানা লাকীর ছোটবোন খাদিজা সুলতানা ইরনী আইন পেশায় যুক্ত থাকার সুবাদে বরিশাল বসবাস করেন। এ কারণে বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি সড়কে তাঁর পৈত্রিক জমিতে ঘর তোলার দায়িত্ব দেন বড় বোন মোসাঃ শামীমা সুলতানা লাকী ও তার স্বামী বিজিবির সাবেক সুবেদার মেজর গোলাম সরোয়ার এবং তাদের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম শাওনকে। 

ঘরের নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক্সেভেটর (খনন যন্ত্র) দিয়ে অভিযুক্তরা পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা গোলাম সরোয়ার, স্ত্রী শামীমা সুলতানা লাকী, এবং ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম শাওনকে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। 

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী খাদিজা সুলতানা ইরনী বলেন, পৈত্রিক জমিতে আমার নির্মাণাধীন ঘর আসামিরা ভেঙে ফেলেছে। মামলার প্রধান আসামি মো. রমিজ মোল্লা একজন কাউন্সিলর হওয়ায় তিনি তার ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে লোকজন নিয়ে এ কাজ করেছেন। ঘর ভাঙ্গার প্রতিবাদ করায় আমার বোন, ভগ্নিপতি এবং ভাগ্নেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়ার আশায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। 

তবে বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন