তরমুজ চারা বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলার অভিযোগ জরিমানা


বরগুনা আমতলী উপজেলার ৩নং আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গেরাবুনিয়া গ্রামে বিষপ্রয়োগে তরমুজ চারা মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে গত রবিবার গভীর রাতে।
এলাকাবাসী ও সালিস সুত্রে জানাযায়, ইউনিয়নের, গেরাবুনিয়া গ্রামের আঃ মজিদ শিকদারের ছেলে আলম শিকদার , কাঞ্চন বাড়িয়া গ্রামের কালু মীরার ছেলে জলিল মীরা , আলগী গ্রামের কাঞ্চন আলী শিকদারের ছেলে মাসুম শিকদার, চালিতা বুনিয়া গ্রামের রশিদ শিকদারের ছেলে আইয়ুব শিকদার ও গেরাবুনিয়া গ্রামের নয়ন খানের ছেলে মনির খান মিলে বিভিন্ন এনজিও থেকে চরা সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের কাছ থেকে প্রায় ৩০ একর জমি চুক্তিতে লিজ নিয়ে চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষ করার উদ্যোগ নিয়ে নয়ন খানের বাড়ির দক্ষিণ পাশের বিলে তরমুজ চারার নার্চারী করেন।
নার্চারীতে জন্মানো তরমুজের লক্ষাধিক চারা গাছ গত রবিবার গভীর রাতে একই এলাকার সাহা আলম সিকদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পূর্বশত্রতার জের ধরে বিষ প্রয়োগ অথবা লবন পানি ছিটিয়ে চারাগুলো মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা ।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক মাসুম শিকদারের ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন কয়েক দিন আগে ধানকাটাকে কেন্দ্র করে আলাম শিকদারকে তাঁর ভাই শাহ আলম শিকদার আমার সামনেই মারধর করে উল্টো ধানকাটার অভিযোগে করে পুলিশ নিয়ে আসে। ঐ ঘটনায় আমি আলাম শিকদারকে তাঁর ভাই শাহ আলম শিকদার কর্তৃক মারধরের কথা পুলিশকে বলায় শাহ আলম শিকদার আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে দেখে নেওয়া হুমকি দেয়।
এ ঘটনার দুই দিনের মধ্যে আমার ভাই মাসুমসহ কৃষকদের রোপনের জন্য জন্মানো তরমুজ চারা গাছ গুলো মেরে ফেলেছে শাহ আলম শিকদার তাঁর ছেলে মঞ্জু শিকদার। আমি এই ঘটনায় ন্যায় বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম শিকদার বলেন, আমি কেন তরমুজ চারা নষ্ট করবো, আমিও একজন কৃষক, আমার ক্ষতি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হেেয়ছে।
তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিস বৈঠক হয়। সালিশে শাহ আলম সিকদার দোষী প্রমানিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি সদস্যদের ও দুপক্ষের উপস্থিতিতে শাহ আলম সিকদারকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এইচকেআর
