গলাচিপায় প্রথম ব্লাক রাইস ধান চাষ


পটুয়াখালীর গলাচিপায় এই প্রথম অতি দামী ব্লাক রাইস ধান চাষ করে সফল হয়েছেন রাসেল। গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব রতনদী গ্রামের মৃত হাজী মো. আজাহার হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল হাওলাদার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা থেকে এক হাজার টাকায় দুই কেজি ব্লাক রাইস ধান কিনে সংগ্রহ করেন।
এলাকায় এসে অন্যের ৩০ শতক জমি একসনা ৫ হাজার টাকা দরে ১০ বছরের চুক্তিতে লিজ নিয়েছেন। অতি যত্ন সহকারে জমিতে বীজ রোপন করেছেন। এবার ধান রোপন করে কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে স্বপ্ন পূরণের পালা।
ধান রোপনের ২০ থেকে ২২ দিন পর বীজ তোলা হয়েছে। বীজ রোপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর ধান কাটার উপযোগী হয়েছে। ইতিমধ্যে ধানের বীজ কেনার জন্য এলাকার বাশার, কালামসহ অনেক চাষী আগাম তার সাথে যোগাযোগ করছেন। এক করায় (তিন শতক) দুই থেকে আড়াই মণ ধান পাওয়া যাবে। ফলন ভাল দেখে অধিক লাভের আশায় আগামীতে ১২০ শতক জমিতে ব্লাক রাইস ধান চাষ করবেন বলে তিনি জানান।
সরেজমিন দেখা গেছে, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রতনদী গ্রামের উদ্যোক্তা রাসেল হাওলাদার পরিকল্পিতভাবে অন্যের জমি একসনা লিজ নিয়ে অল্প সময়ে অতি লাভজনক ব্লাক রাইস ধান চাষ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন।
এর পাশাপাশি কাছেই অন্যের জমি লিজ নিয়ে তিনি উন্নত জাতের বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপন করেছেন। অন্যান্য ধানের মতোই রোগ বালাই আছে। ক্ষেতে চারবার কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করার কারণে এবার ফলনও ভালো হয়েছে। স্থানীয়রাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক চাসীরা এসে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন তার ব্লাক রাইস ধান ক্ষেতে।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তা রাসেল হাওলাদার বলেন, ‘এই প্রথমে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্লাক রাইস ধান চাষ করেছি। এবার ফলন ভাল হয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধান চাষ করার পরিকল্পনা আছে। ধানটা দেখতে কালো, চালটাও কালো। এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি এবং খেতেও খুব সুস্বাদু। এ ধানের মুড়ি খুব ভাল হয়। অভিজাত শপিংমলে ব্লাক রাইস ধানের বীজ পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।’
উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার বলেন, রাসেল ব্লাক রাইস ধান চাষ করেছেন। বিষয়টি জানার পরে আমি ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও আমি কেজি ৩০০ টাকা দরে কিনে এনে অন্য দুই চাষীকে দিয়ে ব্লাক রাইস ধান চাষ করিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এলাকায় ব্লাক রাইস ধান চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়বে।
অল্প সময়ের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এলাকায় এর চাহিদাও দিন দিন বাড়বে বলে আশা করছি। ব্লাক রাইস ধান চাষে আগ্রহী চাষীদেরকে আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হইবে।
মো. রিয়াদ হোসাইন/এইচকেআর
