আজ রাতেই ইলিশ ধরতে সাগরে নামছেন জেলেরা


আজ শুক্রবার মধ্যরাতেই সাগরে নামছেন জেলেরা, শনিবার সকাল থেকে ব্যস্ত থাকবে মৎস্য আহরণে। এর আগে উপকূলের জেলেরা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। জেলে ব্যাবসার সাথে জড়িত প্রতিটি ঘরেই উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হয়েছে।
ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় করণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সরকার। সেই নিষেধজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ রাতে। রাত ১২টার পর থেকেই নদীতে নামবে জেলেরা। জালে ধরা পড়বে কাঙ্খিত ইলিশ।
শুক্রবার সকাল থেকে জেলে পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় নিষেধাজ্ঞার শেষ সময়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন জেলেরা। অনেকেই প্রস্তুতি শেষে আশায় আছেন নদীতে নামবে। নৌকা মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও ছেঁড়া জাল মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন এতদিন। নদীতে নামতে জেলেরা তাদের মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো নোঙর করে রেখেছেন সাড়িবদ্ধভাবে।
জেলে নাগর মাঝি বলেন, আমরা সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে এতদিন নদীতে মাছধরা বন্ধ রেখেছি। আজ রাত থেকে আবার সাগর ও নদীতে নামবো।
তিনি জানান, মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। নিষিদ্ধ সময়ে সরকার কিছু চাল দেয়, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তা দিয়ে কিছুই হয় না। বহু কষ্টে সময়টা পার করতে হয়।
জেলে আবু সুফিয়ান জানান, ঋণ-দাদনে ডুবু ডুবু। সাগরে নামলে জালে ইলিশ পেলে সেই ঋণের বোঝা কিছুটা কমবে।
জেলেরা জানান, অধীর আগ্রহে এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। নদীতে নামতে পারলে এবং জালে মাছ এলে তাদের দুঃখ-কষ্ট কিছুটা লাগব হবে।
সেলিম আড়ৎদার জানান, এখানকার জেলেরা সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকার প্রকৃত জেলে চিহ্নিত করে প্রনোদনা দেয়ায় আমরা খুশি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্তু কুমার অপু বলেন, ইলিশের এ প্রধান প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা গেছে। এ বছর নদীতে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের মধ্যে আইন মানার প্রবনতা অনেকগুন বেড়েছে। অনেকেই এখন নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ ধরতে যায় না। এটা ইলিশ উৎপাদন বাড়ার জন্য ইতিবাচক।
এইচকেআর
