ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রুখতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নানকের 

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রুখতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নানকের 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ রুখতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবেলা করতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতো আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু পরাজিত শক্তির কাছে কখনোই মাথা নত করা হবে না। 

আজ বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে বাংলাদেশে মির্জা ফখরুলরা সমাবেশ করে, সেই সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রোনেড হামলার দন্ডিত আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফর জামান বাব’র এবং উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তি চায় মির্জা ফখরুলরা। তখন ওদের মতলব ও উদ্দেশ্য আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। তিনি বলেন, আপনারা (মির্জা ফখরুল) বাংলাদেশকে কোথায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেতো না? যে বাংলাদেশে মতিউর রহমান নিজামীদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিল? সেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? তাহলে আমাদের কথা পরিষ্কার- প্রয়োজন হলে ৭১ এর মতো আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু কারো কাছে মাথানত করব না।  

 

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি সময় অতিক্রম করছি। যে সময়ে দেশের গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমাদের স্বাধীনতার মাস চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবং সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, না কি স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাস আবার লেখা হবে? মির্জা ফখরুল সাহেব, চট্টগ্রামে আপনার জনসভায় কুক্ষাত সালাউদ্দিন কাদেরের পুত্র হুম্মাম কাদের যখন নারায়ে তাকবির-আল্লাহ হুয়াকবার স্লোগান দেয় এবং বলে, তার বাবা একজন শহীদ। তখন প্রশ্ন জাগে, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল এবং যারা শহীদ হলেন তারা শহীদ, না কি একাত্তরের ঘাতকরা ওই সকা চৌধুরী শীহদ? যুদ্ধাপরাধীরা একাত্তরে জঘন্য অপরাধ করেছে কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন যে ধরনের কথা বলছে তা দেশদ্রোহিতরা শামিল। তাদের এই সকল বক্তব্যের জন্য জাতি কখনোই ক্ষমা করবে না। কাজের আমরা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। 

শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি চারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী বঙ্গবন্ধুসহ শেখ রাসলকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। সেদিন শেখ রাসেল নিজেকে বাচাঁনোর আকুতি করেছিলেন, বলেছিলেন আমাকে মেরো না। আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাও। কিন্তু ঘাতকরা তার বাবা-মায়ের রক্তাক্ত লাশের পাশে নিয়ে গিয়ে গুলি করে বুক ঝাঝরা করে দেয় শেখ রাসেলের। এমন নিষ্ঠুর হত্যা কাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেদিন কোথায় ছিলো মানবধিকার সংস্থা! শিশু রাসেল হত্যা নিয়ে কজন সুশিল সামাজ কথা বলেছিল! হত্যা কাণ্ডের বিচার চেয়েছেন! 

তিনি বলেন, ইতিহাসের খলনায়ক জিয়ার রহমান ক্ষমতায় এসে এই হত্যা কাণ্ডের বিচার ব্যবস্থা বন্ধ করেছিল। আর এরশাদরা চিনদিনের জন্য এই খুনের বিচারকে রুদ্ধ করে দিয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি নির্দেশনা অক্ষর অক্ষরে পালন করার আহ্বান জানান তিনি। 

 আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাত থেকে অন্তসত্ত্বা নারী, একজন ছোট্ট শিশু রক্ষা পায়নি। সে দিন ঘাতকরা এতো নির্মম ছিল- কাউকে বাঁচতে দেয়নি। একাত্তরের ঘাতকরাই ৭৫’এ এই হত্যা কাণ্ড চালিয়েছে। তারা এখনো সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই তাদেরকে বলবো - বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসার আগেই পাকিস্তানি চলে যান। সেটাই আপনাদের প্রিয় জায়গা।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, শরিফ আশরাফ, আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
 


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন