সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে তেলের দাম কমছে না: বিএনপি


সরকারের অব্যবস্থাপনা ও তাদের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য ৩২ শতাংশ এবং পাম ওয়েলের দাম ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু সরকার সমর্থিত লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আগের মূল্যে বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিবিএস প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭৩৫৬ শতাংশে, যা নয় বৎসরে সর্বোচ্চ। আইএডপিআরআইয়ের হিসাব অনুযায়ী একেবারে নতুন করে ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পতিত হচ্ছে। এটা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসকারী শতকরা ৪২ ভাগের অতিরিক্ত।’
তিনি বলেন, ‘এই অনির্বাচিত সরকারের ভ্রান্ত অর্থনৈতিক নীতির কারণে এই অবস্থা হয়েছে। দেশে প্রকট আয়ের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এই বৈষম্যের সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ব্যাপক ভাবে বিনষ্ট হচ্ছে।’
সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্প্রতি, ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশের সবাইকে অপরাধী বলে মন্তব্য করেছে। এ সময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর মহাপরিচালক নীরব থাকেন। সীমান্তে গুলি করে হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। কেউ অপরাধী হলেও তার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সভায়।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অপরাধে বরাবরের মতো ছাত্রলীগ অভিযুক্ত হয়েছে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের এই ধরনের ন্যক্কারজনক, অসামাজিক কার্যকলাপকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মদদ দেওয়া হয় বলে এই ঘটনা গুলো ঘটছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।’
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এএজে
