বরিশালের অরুন্ধতীর সাদাকালো সেলুলয়েডেই বিশ্ব জয়


অরুন্ধতী দেবী ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের নক্ষত্র অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালের ৩১ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গেলেও সাদাকালো সেলুলয়েডের সেই মনকাড়া অভিনয় এখনো রঙিণ হয়ে আছে লাখো দর্শখ-ভক্তের মনে।
এই মহান অভিনেত্রী ১৯২৩ সালে বরিশালের বিখ্যাত গুহঠাকুরতা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন। ছোটবেলায় নৃত্য ও সংগীতের অনুশীলন করেন ও গান শেখেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শৈলজারঞ্জন মজুমদার ছিলেন তার সঙ্গীত শিক্ষক। সংগীত ও নৃত্য ছাড়াও অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল। মাত্র ছয় বছর বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়।
রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটকে অমলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে ‘মায়ার খেলা’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি।
খ্যাতনামা চিত্রনির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিউ থিয়েটার্সের ‘মহাপ্রস্থানের পথে’ (১৯৫২) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবনে প্রবেশ করেন।
চিত্রনাট্যকার বিনয় চট্টোপাধ্যায় একাজে তাকে প্রথম সহায়তা করেন। প্রথম ছবিতেই অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেন এবং একের পর এক বাংলা সিনেমায় সফলভাবে অভিনয় করে গেছেন অরুন্ধতী দেবী।
এর মধ্যে ‘নদ ও নদী’ (১৯৫৪), ‘বকুল’ (১৯৫৪), ‘সতী’ (১৯৫৪), ‘প্রশ্ন’ (১৯৫৪), ‘গোধূলি’ (১৯৫৫), ‘মা’ (১৯৬০), ‘পঞ্চতপা’ (১৯৬০), ক্ষুধিত পাষাণ (১৯৬০) ও ‘দুজনার’ (১৯৫৫) অন্যতম।
ভগিনী নিবেদিতার জীবনাবলম্বনে তার অভিনীত ভগিনী নিবেদিতা সাড়া ফেলে। তিনি বেশ কয়েকটি ছবি পরিচালনাও করেন। চল্লিশের দশকে তার বিবাহ হয় প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবং তাদের অনুরাধা নামে একটি কন্যা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তিনি বিখ্যাত পরিচালক তপন সিংহের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র অনিন্দ্য সিংহ পেশায় বিজ্ঞানী।
এসএমএইচ
