ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • দ্বিতীয় ধাপে এনসিপিসহ ৮২ দলকে চিঠি দিচ্ছে ইসি কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাত ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন বরিশালে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ রাজাপুরে পরীক্ষা চলাকালে ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে ৭ শিক্ষার্থী আহত ঝালকাঠির ভাসমান হাট দেখে অভিভূত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত: পেয়ারারা রপ্তানির সম্ভাবনা  আমতলীতে স্ত্রীকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক ঢাকায় আল আমিন হত্যা, ভোলা থেকে দুই আসামি গ্রেপ্তার ভালো মানুষ না হলে দেশ-জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়: সেনাপ্রধান নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত না নিতে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের সরকারের দুর্বলতার কারণে সীমান্তে পুশইন হচ্ছে : ফয়জুল করীম
  • বরিশালে গণসংহতি আন্দোলনের গণ-সংলাপ অনুষ্ঠিত

    বরিশালে গণসংহতি আন্দোলনের গণ-সংলাপ অনুষ্ঠিত
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ভোটাধিকার ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের লড়াই বেগবান করতে গণসংহতি আন্দোলনের গণ-সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা সদস্যসচিব ডাঃ মানীষা চক্রবর্তী, গণ অধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ মুসা,  বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা সভাপতি জাবের মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য মিরাজ মিঠু,বরিশাল এ.কে স্কুল প্রধান শিক্ষক জনাব এইচ এম জসীম উদ্দীন, বরিশালের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি মো. আকতার হোসেন সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দ।

    সংলাপে জোনায়েদ সাকি বলেন, শুধু ভেটের অধিকারের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হলেই সংকটের সমাধান হবে না। কারন আমরা দেখেছি একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকার পতনের পর আবার আমাদের ওপর আর একটি স্বৈরাচার চেপে বসেছে। তাই আমাদের শাসনতন্ত্র সংস্কারের পথে হাটতে হবে। বিচার বিভাগককে নির্বাহী বিভগের কর্তত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে হবে। উচ্চ আাদলতে বিচারক নিয়েগের জন্য স্বচ্ছ পরিক্ষা পদ্ধতি এবং জেষ্ঠতা লংঘন না করার কঠোর নিতিমালা প্রনয়ন করতে হবে। 

    তিনি আরো বলেন, সকল গনবিরোধী নাগরিক অধিকার খর্বকারী উপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য সৃষ্ট আইন যা এখনও বলবৎ আছে তা বাতিল করে একটা গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থাও স্বাধীন দেশের উপযেগী আইনিনকাঠামো তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেমন নির্বাচন কমিশন মহা হিসাব নিরিক্ষক পাব্লিক সার্ভিস কমিশন মানবাধিকার কমিশন দুর্নীতি দমন কমিশন ইত্যাদিতে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়েগনপদ্ধতি প্রনয়নের জন্য প্রয়েজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার  করতে হবে। 

    রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানের মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরন ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষট বিধান প্রময়ন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা  প্রনয়ন করতে হবে। বলাই বাহুল্য বর্তমান সরকার এসব করতে ন্যূনতম আগ্রহী নয়। ফলে স্পষ্টতই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে  বাধ্যকরার ঐতিহাসিক পথেই জনগনকে হাটতে হবে। আমরা মনে করি ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এই সরকার দেশের সকল নাগরিককেই এক কাতারে দাড় করিয়ে দিয়েছে এই সরকার । বর্তমান ফ্যাসিবাদের পতনের ঘন্টাধ্বনি বেজে উঠেছে৷ তাই সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক অঙ্গিকার  নিয়ে এইনপতনকে জনগনের বিজয়ে পরিনত করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই।

    সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, দেশে আজ ক্রান্তিলগ্নে। চারদিকে নানান সংকট পুঞ্জিভূত হয়ে জনগনের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এই সংকট মোকাবেলার জন্য একটি শাসনতন্ত্রিক সংস্কার দরকার। একমাত্র গনতন্ত্রের গতিমুখে অর্থাৎ একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠাই বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে৷ আর সেই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এখন এক আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। কেননা এদের অধীনে জান ও জবানের কোন নিশ্চয়তা নেই। বর্তামন সরকার যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তার ভিত্তি বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতা কাঠামো। ফলে বাস্তবতা হলো ভোটাধিকার স্থায়িভাবে প্রতিষ্ঠাহলেও রাষ্ট্রকে আর আগের মত রেখে তা অর্জন করা যাবে না। তাই সংবিধানের ক্ষমতাকাঠামোর গনতান্ত্রিকীকরন করতে হবে৷ একটা নতুন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কিংবা চুক্তিতে না পৌছালে এই সংকটের কেন সমধান নেই। ফলে সামষ্টিক বিপদ থেকেও দেশ ও জনগনের নিস্তার পাওয়ার কোন পথ নেই। গণসংহতি আন্দোলনেরনপক্ষ থেকে দীর্ঘদিন আমরা এ লড়াই করে চলেছি।সাম্প্রতিক ১৮ সালের নির্বাচনপর আমরা জোরের সাথে এই নতিন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জাতীয় সনদ তুলে ধরেছি। বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের গভীরতা এই কর্মসূচিকেই এখন প্রধান কর্মসূচিতে পরিনত করেছে। তাই এই রূপরেখার ভিত্তিতে আমাদের সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

    রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য জননেতা মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, আমাদের এখন শাসন ব্যাবস্থায় মনেযোগ দেয়া দরকার।  বর্তমান ফ্যাসিবাদের সাথে মধ্যযুগের  বর্বরতার কোন পার্থক্য নেই। তারা দেশের সর্বস্তরে জুলুমের জাল বিস্তর করে রেখেছে৷ এ থেকে নিস্তারের জন্য আমাদের রাজপথে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে৷


    এএজে
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ