দীর্ঘদিন পর মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশালে

দীর্ঘদিন পর বরিশালের দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা গেল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারকে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দলের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান নেতাকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দীন ওরফে বাবুল মোল্লার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান। এ সময় গিয়াস উদ্দীন মোল্লার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি প্রায় ২০ বছর বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এ জন্য স্থানীয় বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোতে তাঁর বেশ প্রভাব রয়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরে মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি করা হলে মজিবর রহমান সরোয়ার তাতে বাদ পড়েন। তাঁর অনুসারী নেতারাও কমিটিতে ঠাঁই পাননি। বাদ পড়া নেতারা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন। সেই থেকে দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে তাঁদের অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে গত নভেম্বরের পর মজিবর রহমান সরোয়ার বেশ কয়েকবার বরিশালে এলেও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তাঁকে আর দেখা যায়নি।
বিরোধীরা আহ্বায়ক কমিটিতে নেতৃত্ব পাওয়ায় মজিবর রহমান সরোয়ার এবং তাঁর অনুসারী নেতারা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তবে তাঁরা সংগঠিত হয়ে এরই মধ্যে আলাদাভাবে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের বটতলা এলাকায় প্রয়াত গিয়াস উদ্দীন মোল্লার বাসায় যান মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আতাউর রহমান , যুগ্ম সম্পাদক আখতারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদুজ্জামান, মহানগর যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান, মাওলা রাব্বি, রিয়াজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।
এ সময় প্রয়াত বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দীনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন মজিবর রহমান সরোয়ার। পরে স্বজনদের সমবেদনা জানান এবং হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি। সুষ্ঠু বিচারে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, গিয়াস উদ্দীন মোল্লা দলের নিবেদিত এক নেতা ছিলেন। গত ২৯ জুন তিনি নিহত হন। তাঁর মৃত্যুতে দল বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মজিবর রহমান সরোয়ার তাঁর বাসায় গিয়ে পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন। বিচারে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বরিশাল মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে দিয়ে গত বছরের ৩ নভেম্বর আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। কমিটিতে মনিরুজ্জামান খান ওরফে ফারুককে আহ্বায়ক, আলী হায়দার ওরফে বাবুলকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মীর জাহিদুল কবিরকে সদস্যসচিব করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে আগের কমিটির ১৭১ সদস্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কেউ স্থান পাননি।
এএজে
