ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে রোগীর ভালো পায়ে প্লাস্টার দিয়ে বিপাকে চিকিৎসক

আমতলীতে রোগীর ভালো পায়ে প্লাস্টার দিয়ে বিপাকে চিকিৎসক
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীতে মরিয়ম বেগম নামে এক রোগীর  পা না ভাঙ্গলেও এক হাতুরে ডাক্তার কর্তৃক ভালো পায়ে প্লাস্টার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে অর্থপেডিক্স চিকিৎসক  মো. জহিরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় ভুয়া চিকিৎসক লিটনের বিচার চেয়ে রোগী মরিয়ম বেগমের স্বজন মো. আক্কাস প্যাদা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবল্পনা কর্মকতার্র কাছে অভিযোগ করেছে। 

অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২২ জুন) ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত  কমিটি গঠন করেছেন।  জানাগেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন আমতলী ডিজিটাল ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম লিটন দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া অর্থপেডিক্স চিকিৎসক সেজে রোগীদের অপ-চিকিৎসা দিয়ে আসছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত ১৬ জুন উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের পায়ে ব্যাথা নিয়ে মোসা: মরিয়ম বেগম আমতলী ডিজিটাল ডায়গনিস্টিক সেন্টারে আসেন। ওই সময় মো. জহিরুল ইসলাম লিটন নিজেকে অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন। পরে ওই রোগীর বাম পা ভেঙ্গেছে বলে ভালো পায়ে প্লাস্টার করে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। প্লাস্টারের পরপরই রোগীর পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়। চারদিন পরে গত সোমবার তিনি ডাঃ হারুন অর রশিদের শরান্নপন্ন হয়। ওই ডাক্তার তার পা ভাঙ্গেনি বলে প্লাস্টার খুলে ফেলেন। 

এ ঘটনায় রোগী মরিয়মের স্বজন মো. আব্বাস প্যাদা  গত মঙ্গলবার ভুয়া চিকিৎসক মো. জহিরুল ইসলাম লিটনের শাস্তিদাবি করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্র কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কর্মকতা আব্দুল মুনয়েম সাদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন খন্দকারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত  কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটি বুধবার ২২ জুন থেকে  তদন্ত  শুরু করেছেন।

ভুয়া অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেয়া চিকিৎসক মো. জহিরুল ইসলাম লিটন রোগীর পায়ে প্লাস্টার করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অথোর্পেটিক্স না। গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে পায়ে প্লাস্টার করেছি। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি আমাকে নোটিশ দিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, তদন্ত  শুরু করেছি। দ্রুত তদন্ত  প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, রোগীর স্বজনের  অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
 
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন