জাল টাকার ব্যবসার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা জেল হাজতে


রংপুরে জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পুলিশের এপিএসআই (এসিস্টেন্ট ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর) আল আমিনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর অগে ১৯ জুন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জামিনের আবেদন করলে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে পুনরায় তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এসিসন্টেন্ড ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর (এপিএসআই) আল আমিন বর্তমানে ঢাকায় ডেল্টা ২১ কন্ট্রোলরুম প্রটেকশন বিভাগ ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত। রংপুরে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত অবস্থায় জাল টাকা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। গত বছরের ৫ জুলাই পুর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আল আমিন দুইবন্ধু রংপুর নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার জিসান ও মুলাটোল এলাকার সোহানকে রংপুর নগরীর সোডাপীর এলাকায় একটি হোটেলে ফোন করে ডেকে আনেন। এরপর সেখানে তার পকেট থেকে ৫শ টাকার এক বান্ডিল জাল নোট দেখিয়ে বলেন এসব চালাতে পারলে অর্ধেক দাম দিলেই চলবে। তারা টাকা নিতে অস্বীকার করলে অনেকটা জোর করে ৫টি ৫শ টাকার জাল নোট তাদের দিয়ে আল আমিন বলেন চেষ্টা করে দেখতে চালানো যায় কিনা। এ ঘটনার পর দুই বন্ধু মিঠাপুকুর যান ওই দিন রাতেই বাসায় ফেরার পথে নগরীর দমদমা এলাকায় পুলিশ তাদের মোটরসাইকেল আটক করে তল্লাশী করে ৫টি জাল ৫শ টাকার নোট পান। এরপর তাদের নগরীর তাজহাট থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ট্রাফিক পুলিশের এএসআই আল আমিনের নাম বলেন।
পরে এ ঘটনায় তাজহাট থানার এস আই আসাদুল বাদী হয়ে জিসান, সোহান ও এএসআই আল আমিনের নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। আসামী জিসান ও সোহান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন । স্বীকারোক্তিতে জাল টাকা এএসআই আল আমিন তাদের দিয়েছে বলে জানায়। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে এএসআই আল আমিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ দাখিল করেন। মঙ্গলবার এএসআই আল আমিন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে সরকার পক্ষের আইজীবী পিপি আব্দুল মালেক জানান, পুলিশের এপিএসআই আল আমিন জাল টাকা ব্যবসার মামলার প্রধান আসামী। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জসীট দাখিল করেছে। ১৯ জুন তিনি আত্মসমর্পন করে। মঙ্গলবার জামিনের আবেদন শুনানী শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
এইচকেআর
